খরা সহ্য করতে পারে এমন ধানের নতুন পাঁচ জাত

খরা সহ্য করতে পারে এবং বেশি আমিষ আছে এমন একটি নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা আমন মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের এই ধান প্রতি হেক্টরে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ টন ফলন দেবে

গতকাল বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় ব্রি ধান-৬৬সহ উফশী ধানের মোট পাঁচটি জাত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অন্য জাতগুলো হলো: ব্রিধান-৬৫, ব্রিধান-৬৭, ব্রিধান-৬৮, ব্রিধান-৬৯ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা এসব জাত উদ্ভাবন করেছেন

ছাড়া সভায় গম গবেষণাকেন্দ্র উদ্ভাবিত গমের দুটি জাত বারি গম-২৯ বারি গম-৩০ এবং কন্দাল গবেষণাকেন্দ্র উদ্ভাবিত আলুর দুটি জাত বারি আলু-৫৬ বারি আলু-৫৭ ছাড় পায় তবে এসব জাত কৃষক পর্যায়ে যেতে আরও দুই-তিন বছর লাগবে সভায় বেসরকারিভাবে আমদানি করা ১৩টি ফসলের জাতকেও শর্ত সাপেক্ষে নিবন্ধন দেওয়া হয় এর মধ্যে রয়েছে সাতটি হাইব্রিড জাতের ধান ছয়টি আলুর জাত

ব্রির বিজ্ঞানীরা জানান, বছর ব্রি থেকে মোট সাতটি নতুন জাতের ধান ছাড়
পেয়েছে নিয়ে ব্রি উদ্ভাবিত জাতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৯ এর মধ্যে সর্বশেষ জাত ব্রি ৬৬- আমিষের পরিমাণ ১১ শতাংশ বাকি ধানে তার পরিমাণ সর্বোচ্চ শতাংশ এই ধানের ফলন খরায় বড়জোর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমবে

সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে গতকাল বীজ বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব বোর্ডের সভাপতি এস এম নাজমুল ইসলাম অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক


নতুন এই জাতগুলো সম্পর্কে ব্রির মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে এত দিন বোরো মৌসুমকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো ফলে বোরো মৌসুমের উপযোগী জাতই বেশি উদ্ভাবিত হয়েছে সরকার আমন আউশে উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করায় আমরা এবার যে পাঁচটি জাত উদ্ভাবন করেছি তার একটি আউশ, একটি আমন বাকি তিনটি বোরো’ সূত্র: বাংলাদেশপ্রেস।