লোহাগাড়ায় কোয়েল পাখির বাণিজ্যিক খামারে সাফল্য



চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন হচ্ছে কোয়েল পাখি। ইনকিউবেটর মেশিনের মাধ্যমে ডিম থেকে এ পাখি উত্পাদন করে ভাগ্য বদলাচ্ছে উদ্যমী যুবক মো. ইয়াছির আরাফাত চৌধুরী। উপজেলার আধুনগরস্থ উত্তর হরিণার নিজ এলাকা মিয়াপাড়ায় তিনি এ পাখির খামার গড়ে তোলেন। ২০০৯ সালের দিকে বগুড়া থেকে ৯ হাজার টাকা দিয়ে ৯শ'টি কোয়েল পাখির বাচ্চা এনে খামার শুরু করেন আরাফাত। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ নিয়ে এদের ঋণ সহায়তায় প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকায় দুটি ইনকিউবেটর মেশিন কিনে পাখির খামার আরো সম্প্রসারিত করেন। এইচএসসি পাস এ বেকার যুবক কোয়েল পাখি খামারের পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্মসহ বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করে থাকেন।
বর্তমানে আরাফাতের খামারে ১৫ হাজার কোয়েল পাখি রয়েছে। জানা যায়, কোয়েল পাখি ৪৫-৫৫দিনের মধ্যে ডিম দেয়। প্রতিদিন ১টি করে প্রতিটি পাখি বছরে ৩শ'টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে। সপ্তাহে ৪ হাজার ৫শ' ডিম একসাথে মেশিনে দেয়া যায়। ৩ হাজার ৫শ' পাখির বাচ্চা উত্পন্ন হয় সপ্তাহে। ৫-১০ ভাগ পাখি মারা যায়। ৪ জন কর্মচারী সার্বক্ষণিক খামারে কাজ করছে। প্রতিমাসে পাখি উত্পাদনে তার খরচ হচ্ছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। খুচরা মূল্যে প্রতিটি পাখি ৪০-৫০ টাকা। কিন্তু খামার থেকে বিক্রি হয় ৩০-৪০ টাকা। মাসে তার লাভ হচ্ছে ৩০-৫০ হাজার টাকা। পোল্ট্রি ফার্মেও তার প্রচুর আয় হচ্ছে। গত বছর মুরগি ও কোয়েল পাখি বিক্রি করে লাভ হয়েছে ৭ লাখ টাকা। এ বছর ১০ লাখ টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা।

1 comments:

Unknown said... Udyokta

কোয়েল পালনের জন্য উন্নত জাতের বাচ্চা কোথায় পাওয়া যাবে ককস বাজার জেলায় একদিন বয়সের কোয়েলের বাচ্চা দাম কত? আর কোয়েলের ডিম এবং কোয়েল বড় করে কোথাই বিক্রি করবো।