বগুড়ার সারিয়াকান্দির হাটফুলবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামে টমেটো চাষ করে লাখপতি হয়েছেন
আনছার আলী নামে এক কৃষক। তিনি ৬০শতাংশ জমিতে টমেটো চাষ করে প্রায় সাড়ে ৪শ মণ টমেটোর ফলন পেয়েছেন। আর এ টমেটো পাইকারী দরে বাজারে বিক্রি
করেছেন ২ লাখ ৬৫হাজার টাকায়। টমেটো চাষে খরচ হয়েছে তার প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে
তার লাভ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। গরিব এ টমেটো চাষীকে এলাকার সবাই এখন লাখপতি আনছার
আলী নামেই চেনেন। টমেটো চাষী মোঃ আনছার আলী জানান, নিজের তেমন জমি নেই তার। তবে জমি খায়খালাশি নিয়ে চাষাবাদ করে
জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের র্কমকর্তাদের নিকট থেকে টমেটো
চাষে লাভ বুঝতে পেরে ১৫ বছর ধরে খায়খালাশি জমিতেই টমেটো চাষ করে আসছেন। ১৫ বছরের মধ্যে
কোনবার টমেটো চাষ করে লাভবান হয়েছেন আবার কোন মৌসুমে গচ্চা গেছে অনেক টাকা। গত মৌসুমেও
মোটা অংকের টাকা গচ্চা গেলেও হতাশ হননি তিনি। চলতি মৌসুমে তার গ্রামের উত্তরে চিলি্লরবন্দ
নামে উর্বর ৬০শতাংশ জমিতে টমেটো চারা রোপন করেন। চারা রোপণের পর থেকেই তরতর করে বেড়ে
উঠতে থাকে টমেটো গাছ। এ মৌসুমে টমেটো চাষে লাভ ভাল হবে বুঝতে পারে আনছার আলী হাড়ভাঙ্গা
খাটুনি শুরু করেন টমেটোর জমিতে। এসিআই'র পেস্টিসাইড বিভাগের
স্থানীয় প্রতিনিধি রোকানুজ্জামান লিমন টমেটোর জমিতে গিয়ে টমেটো গাছের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থাপত্র
ও পরামর্শ দেন। সেই মোতাবেক গাছ সুরক্ষা, অধিক ফুলফল, ফলের রং ইত্যাদির জন্য ধাপে ধাপে ব্যাভিস্টিন, নিউবেন,
টিডো, ফ্লোরা,
ম্যানকোজেব
নামে বিভিন্ন ওষুধ ও সার প্রয়োগ করতে থাকেন জমিতে। জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকে মণে মণে
লাল টুকটুকে টমেটো তুলতে থাকেন আনছার আলী। প্রতি কেজি ৩০/৩৫টাকা দরে ব্যাপারীরা জমি
থেকেই ক্রয় করে নিয়ে যায় টমেটো। স্থানীয় ইব্রাহিম, সহিদুল, সোহাগ জানান, টমেটো চাষে লাভ বুঝতে পরে একই গ্রামের ফিরোজ আহম্মেদ
ধলু, মোস্তাফিজুর রহমান, জিয়ারুল আকন্দ, রফিকুল ইসলামও এবার টমেটো চাষে ভাল ফল পেয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা
কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালাহ উদ্দিন সরদার জানান, চলতি মৌসুমে টমেটো চাষীদের অক্লান্ত পরিশ্রম, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে টমেটোর ফলন ভাল হয়েছে এবং
দামও ভাল পাওয়ায় টমেটো চাষীরা লাভবান হয়েছেন।
0 comments:
মন্তব্য করুন