আনতে পান্তা ফুরায় ছকিনা ও মজিদের অভাবী সংসারে।সংসারের অভাব ছিল সারা বছরই তার উপর রয়েছে দুটি ছেলেসন্তান। তাদের ও পড়ালেখার খরচ জোগাতে পারতে না ।এমন অবস্থায় ছকিনার কানের দুল বিক্রি করে একটি গাভী ক্রয় করেন পাশের নামাজখালী গ্রামের সুবাস ঘোষের কাছ থেকে মাত্র ছয় হাজার টাকায় কিনে লালন-পালন করে ছকিনা ও মজিদ এখন ৯৯টি গরুর মালিক। ডেইরি ফার্ম করে অভাবী সংসারে এখন তারা সুখের দেখা পেয়েছেন। ৬-৮ বছর আগে মাত্র ৬ হাজার টাকা দিয়ে মজিদ নামাজখালী গ্রামের সুবাস চন্দ্র ঘোষের কাছ থেকে একটি বকনা গাভী কেনেন। সেই গাভী থেকে এখন ৯৯টি গরুর মালিক আবদুল মজিদ ও ছকিনা। স্ত্রী ছকিনার নামে ডেইরি ফার্ম করেছেন। গরুগুলোর মধ্যে ৮০-৮২টিই গাভী। তার মধ্যে ১৭-১৮টি গাভী গর্ভবতী। প্রতিদিন সকাল ও বিকাল মিলে চারশ’ লিটার দুধ দেয় গাভীগুলো। প্রতি লিটার দুধ ৪০-৪২ টাকায় বাড়ির পাশে দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে (আড়ং দুধ) সকাল ও বিকালে বিক্রি করেন। প্রতি সোমবার এক লক্ষাধিক টাকা বিল পান মজিদ। পাশাপাশি মজিদ ডেইরি ফার্ম করে ঠিকাদারি ও ডিও বেচাকেনার ব্যবসা করেন। এতেও ভালো আয়-রোজগার করেন মজিদ। একসময় যে সংসারটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলত, সেই সংসারটি এখন গ্রামের আর দশটি পরিবারের চেয়ে অনেক ভালো চলে। মজিদ ও ছকিনা ডেইরি ফার্ম করে শুধু বাসাবাড়িই করেননি, তারা ১৪-১৫ বিঘা ফসলি জমিও কিনেছেন। ফার্মের গরুর পরিচর্যা করার জন্য মজিদ ও ছকিনার পাশাপাশি ৩-৪ জন বেতনভুক্ত কর্মচারী রয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ২ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন দেন তারা।
এ ব্যাপারে আবদুল মজিদ জানান, গ্রামের লোকজনসহ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও গরিব লোকজনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবদুল মজিদ বিনামূল্যে দুধ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন। আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, জাকির হোসেন বেলাল,রেজাউল ইসলাম রাজু ও উজ্জ্বল জানায়, মজিদ উন্নত জাতের গাভী লালন-পালন করেন। প্রতিটি গাভী ২০-২৫ লিটার দুধ দেয়। দুধের গুণগত মান ভালো। গাভীগুলোর দুধ সুস্বাদু ও ননীযুক্ত।উল্লেখ্য, মজিদ ও ছকিনা ডেইরি ফার্ম থেকে প্রতি বছর ৫০-৫২ লাখ টাকার দুধ বিক্রি করেন।
1 comments:
তার গেরাম কোনডা ? এইডাইতো বুঝলাম না। যোগাোগের ঠিকানাটা দিলে উপকৃত হইতাম।
মন্তব্য করুন