পুতুলের দোকান



জন্মদিন ছাড়াও বিশেষ দিনগুলোতে পুতুলের বেশ চাহিদা থাকে। তাই শুধু পুতুল বিক্রির ছোট্ট একটি দোকান দিতে পারেন আপনিও। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সিদ্ধার্থ সাই

 হলমার্ক, আর্চিজসহ ঢাকার নিউ মার্কেট ও চাঁদনি চকের দোকানগুলোতে পুতুলের আলাদা র‌্যাক থাকে। চাহিদা আছে বলেই এর এত কদর। পুতুলের বড় একটি অংশ আসে চীন থেকে। তবে আজকাল আমাদের দেশেও তৈরি হচ্ছে নানা রকম পুতুল। দামও কম।

যেভাবে শুরু করবেন
দশ ফুট বাই দশ ফুট একটা দোকান হলে চলবে। পুতুল সাজিয়ে রাখতে করতে হবে জুতসই র‌্যাক। আর প্রয়োজন মতো লাইট। এ ছাড়া ডেকোরেশন কিভাবে করবেন? আইডিয়ার জন্য অন্যান্য গিফটের দোকানের ডেকোরেশন দেখে নিতে পারেন। শহরের মধ্যে হলে সিটি করপোরেশন অথবা পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। সব মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা পুঁজি হলেই চলবে।

কোথায় পাবেন পুতুল
দেশি পুতুলের জন্য যেতে পারেন ঢাকার কামরাঙ্গীরচর কিংবা নবাবগঞ্জে। এখানে অনেক পুতুল তৈরির কারখানা আছে। চকবাজারে আছে পুতুলের পাইকারি দোকান। ইমামগঞ্জের বিসমিল্লাহ টাওয়ার গিফট সামগ্রীর সবচেয়ে বড় মার্কেট। এখানে আপনি পাবেন নানা ধরনের পুতুল। বিসমিল্লাহ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলার তাহসিন গ্রেটিংয়ে ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন। আর পুরানা পল্টনের এবি কার্ড সেন্টারে পাওয়া যায় চায়না পুতুল। এ ছাড়া তরঙ্গ, ২৮২/৫, প্রথম কলোনি, মাজার রোড, মিরপুরে একবার ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন।

লাভ কেমন
চায়না, মিকিমাউস, টুইটি, বারবি, ডরেমনসহ বিভিন্ন চায়নিজ পুতুল আকৃতি অনুযায়ী ৩০ থেকে শুরু করে ৭০০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়। বিক্রি করা যায় ৫০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর দেশি পুতুলের সর্বোচ্চ দাম পড়ে ১০০ টাকা। দেশি পুতুল বিসমিল্লাহ মার্কেটে পাওয়া যায়। ৫০০ টাকায়ও দেশি পুতুল বিক্রি হয়। তবে বিশেষ রকমের দেশি পুতুল পেতে বিসিকে যেতে পারেন।

আরো যা রাখতে পারেন
দোকান যেহেতু উপহার সামগ্রীর। তাই পুতুলের সঙ্গে রাখতে পারেন ফুল, বই, সিডি, হ্যান্ডিক্রাফ্টের অন্যান্য উপহার সামগ্রীও। সবই পাবেন ইমামগঞ্জের বিসমিল্লাহ টাওয়ারে। রাখতে পারেন ব্যাগ আর মাটির তৈরি জিনিসপত্রও।