আইসক্রিম তৈরীর কাঁচামালগুলো
কি কি?
- হাইড্রোজেনেড কোকোনাট অয়েল /পাম কারনাল অয়েলীন ।
- মিল্ক পাউডার (ফুলক্রীম )
- ইমালসিফায়ার এবং স্ট্যাটাবলাইজার
- ফুড কালারিং
- ফ্লেভারস : ভ্যানিলা , স্ট্রবেরী, অরেঞ্জ, কফি ইত্যাদি।
- গ্লুকোজ
- কুয়ার গাম
- কোকোয়া পাউডার
- আইসক্রিম ক্টিক
- ব্লেনডিং অব দ্যা মিক্স ইনগ্রিডিয়েনডস
- পাস্তুরাইজেশন
- হোমোজেনাইজেশন
- এইজিং দ্যা মিক্স
- এডিং লিকুইড ফ্লেভার , কালার
- ফ্রিজিং
- হার্ডেনিং
- কোয়ালিটি টেস্টটিং
- প্যাকেজিং
ব্লেনডিং অব দ্যা
মিক্স ইনগ্রিডিয়েনডস
প্রথমেই স্কিম মিল্ক
/ পাউডার মিল্ক , ইমালসিফায়ার ,
নন ফ্যাট, একএে ব্লেনডিং মেশিনেমেশানো হয় – – একে বলে ব্লেনডিং । অনেক সময় সলিড উপকরণগুলো কে
লিকুইড উপকরণের সাথে মেশানো পূর্বে একবার ব্লেনড করে নেয়া হয় ।
পাস্তুরাইজেশন
পরবর্তীতে ব্লেনডিং
এর মাধ্যমে প্রাপ্ত মিশ্রণ যাকে বলে আইসক্রিম মিক্স কে পাস্তুরীকরণ করা হয় । আইসক্রিমকে
১৫৫ ডিগ্রী ফারেনহাইড / ৬৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এ পাস্তুরীকরণ করা হয় এবং প্রায় ৩০
মিনিট পাস্তুরীকরণ করা হয় । ফ্যাক্ট্যরীতে দুই ধরনের পাস্তুরাইজার বেশি ব্যবহার করা
হয় – ব্যাচ পাস্তুরাইজার এবং ভ্যাট
পাস্তুরাইজার ।
হোমোজেনাইজেশন
পরবর্তী ধাপে আইসক্রিম
মিক্সকে হোমোজেনাইজেশন করা হয় ( ২৫০০-৩০০০পিএসআই)। ,হোমোজেনাইজেশন হলো কেনো মিশ্রণের উপাদান কে সমরূপে
মিশ্রিত করা , এর ফলে মিশ্রণ মসৃণ
এবং ক্রীমি হয় , ইমালসিফায়ার ও এবং
স্ট্যাটাবলাইজার আরো ভালভাবে মিশ্রিত হয় । হোমোজেনাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার উপর
আইসক্রীমের মান অনেকখানি নির্ভরশীল ।
এইজিং দ্যা মিক্স
পরবর্তীতে ৪ ডিগ্রী
সেলসিয়াসে প্রায় ৪ ঘন্টা বা সারারাত হোমোজেনাইজড মিক্সড কে এইজিং করা হয় । এইজিং
এর ফলে মিল্ক ফ্যাটগুলো ভেঙ্গে আংশিক দানাদার হয় ।
এডিং লিকুইড ফ্লেভার
, কালার : এই পর্যায়ে লিকুইড
ফ্লেভার এবং কালার যোগ করা হয় ।
ফ্রিজিং
এরপর মিশ্রণকে ফ্রিজারে
রেখে দেয়া হয় , ভিতরের তাপমাএা –
৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে রাখা
হয় এবং ফ্রিজিং এজেন্ট হিসেবে তরল এমোনিয়া ব্যাবহার করা হয় । যদি সিঙ্গেল ব্যাচ
ইলেক্ট্রফ্রিজার ব্যাবহার করা হয় তবে ১৫-২০ মিনিটেই ফ্রিজিং হয়ে যায় ।
হার্ডেনিং
এই ধাপে আইসক্রিম
কণ্টেইনারে রাখা হয় । ফ্যাক্টরী মেশিনগুলো তা সরাসরি কার্টনে ভরে দেয় অথবা বিভিন্ন
আকার প্রদান করা হয় । মেশিনগুলো থেকে আইসক্রিম
বের করে – ২০ডিগ্রী ফারেনহাইড
ফ্রিজারে রাখা হয় যাতে শক্ত আকার ধারন করে ।
কোয়ালিটি টেস্টিং
এই ধাপে আইসক্রীমের
মান যাচাই করা হয় ।
প্যাকেজিং
সবশেষে অটোমেটিক মেশিনে
এ প্যাকেজ করে ফ্রিজে সংরক্ষন করা হয়। একেক ফ্যাক্টরীর তৈরী আইসক্রিম এর ফ্রিজিংপয়েন্ট
একেক একেক রকম , তাই যে কোম্পানি আইসক্রিম
তৈরি করে তারাই সেই আইসক্রিম এর জন্য রেফ্রিজারেটর দিয়ে থাকে ।
0 comments:
মন্তব্য করুন