কাঠের বাক্সে
মৌমাছি প্রতিপালন এখন আর নতুন কোন বিষয় নয়। মৌমাছি প্রতিপালন করে বর্তমানে দেশের
বিভিন্ন স্থানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। শুধু যে মধু প্রাপ্তির
জন্য মানূষ মৌমাছি পালন করছে তা কিন্তু নয়। মৌমাছি পালনের প্রধান উদ্দেশ্য পরাগায়নের
মাধ্যমে দেশের ফল ও ফসলের উত্পাদন বৃদ্ধি করা। মৌমাছি তার খাদ্য পুষ্পরস ও ফুলের পরাগরেণু
সংগ্রহের জন্য এক ফুল থেকে অপর ফুলে বিচরণ করে আর এর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে পরাগায়ন
ঘটায়।এভাবে পরাগায়নের ফলে জমির ফসল,শাক-সবজি,ফল,ফুল ইত্যাদির উত্পাদন অনেকাংশে
বৃদ্ধি পায়। পরগায়নের মাধ্যমে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে উত্পাদন বৃদ্ধিতে মৌমাছি এক গুরুত্বপূর্ণ
ভুমিকা পালন করছে ।এছাড়া মৌমাছি মানুষকে দান করে ‘মধু’। এই মধু মহান আল্লাহতায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত। যা
মানব দেহের রোধ প্রতিরোধ এবং রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। অল্প মূলধন বিনিয়োগ করে স্বল্প পরিশ্রমে
মৌমাছি পালন করে ঘরে বসেই প্রচুর অর্থ আয় করা যায় অতি সহজেই। এজন্য প্রয়োজন যথাযথ
উদ্যোগ, কয়েক দিনের প্রশিক্ষণ
গ্রহণ,মৌমাছির খাদ্য সংগ্রহের
উপযোগি ফল-ফুল-ফসলের চাষ সমৃদ্ধ এলাকা। বিশেষ করে সরিষা,তিল ও লিচুসহ বিভিন্ন ধরণের ফল-ফসল যে সকল এলাকায় চাষাবাদ হয় অধিক সেসকল এলাকা
মৌমাছি পালনের জন্য অধিক উপযোগি। মৌমাছিসহ একটি কাঠের বাক্স ক্রয় করতে বর্তমানে প্রায়
3500/- টাকা ব্যয় হয়। যা থেকে
উপযুক্ত পরিবেশে বছরে প্রায় 40-50 কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া
যায়। বাক্সে পালিত মৌমাছি থেকে প্রাপ্ত বিশুদ্ধ মধুর বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি
প্রায় 400/-টাকা। একবার মৌবাক্স স্থাপন
করলে তাতে 10-15 বছর পর্যন্ত মৌমাছি পালন
করা যায়। এছাড়া আর তেমন কোন অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় না। প্রতিটি মৌবাক্স থেকে বছরে
গড়ে 15000/-টাকা আয় করা যায় সহজেই।
মৌমাছি পালনের মতো স্বল্প পরিশ্রমে এত অধিক লাভজনক ব্যবসা আর দ্বিতীয়টি নেই। তাই আর
বিলম্ব না করে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করুন। বিস্তারিত জানতে সেল নং-01710407074 -তে যোগাযোগ করতে পারবেন
0 comments:
মন্তব্য করুন