ব্যান্ডবক্সের লন্ড্রি শপ


পুরনো কাপড় কিংবা কম্বল ধোয়ার জন্য যেতে হয় লন্ড্রিতে। এ ছাড়া রং ও রিপুর কাজ তো আছেই। নাগরিক জীবনে লন্ড্রি এখন অপরিহার্য। তবে এসব লন্ড্রির মধ্যে আছে কিছু বিখ্যাত চেইন শপ। তাদের মধ্যে ব্যান্ডবক্স অন্যতম। নিজ এলাকায় ডিলারশিপ নিয়ে আপনিও দিতে পারেন এমন একটি লন্ড্রি শপ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সিদ্ধার্থ সাই

সাভারের নরসিংহপুরে আছে ব্যান্ডবক্সের কেন্দ্রীয় ওয়াশ কারখানা। সারা দেশের সব আউটলেট থেকে কাপড় সংগৃহীত হয়ে সেখানে ওয়াশ হয়ে আবার আউটলেটে ফেরত যায়। সারা দেশে প্রায় ৪৪টির মতো আউটলেট আছে ব্যান্ডবক্সের। ঢাকায় ৩৮টি, নারায়ণগঞ্জে দুটি এবং চট্টগ্রাম ও সিলেটেও আউটলেট আছে।

কারা করতে পারবে
দোকানের জন্য মোটামুটি ৫০০ বর্গফুটের জায়গা হলেই হলো। এর সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, দোকানের চুক্তিপত্রের কাগজপত্র, দোকানের প্রয়োজনীয় ডেকোরেশন তো লাগবেই। দোকানের স্থান অভিজাত এলাকায় হলে ভালো হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ডিলারশিপের দরখাস্ত করতে হবে ব্যান্ডবক্সের পরিচালক বরাবর। পরে কম্পানি থেকে লোক এসে আপনার দোকানের অবস্থান, ব্যবসায়ের সম্ভাব্যতা দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আউটলেট চালানোর নিয়ম
দোকানের সৌন্দর্যবর্ধন, স্লিপ, কার্ড, দোকানের আনুষঙ্গিক সব কিছু আপনাকেই করে নিতে হবে। কম্পানির কাজ হবে ময়লা কাপড় নিয়ে যাওয়া এবং ধোয়া কাপড় পেঁৗছে দেওয়া। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। কর্মচারীর বেতনও আপনাকেই চালাতে হবে। গুলশান ও বনানীতে দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ পিসের অর্ডার পাওয়া যায়; কিন্তু হাটখোলার মতো জায়গাগুলোতে ১৫০-এর বেশি কাপড়ের অর্ডার পাওয়া যায় না। সেভাবেই চিন্তা করে নিতে হবে।

ব্যান্ডবক্সে কাপড় ধোয়ার খরচ
সাধারণত ১৫ শতাংশ লাভ রেখে সার্ভিস চার্জ ঠিক করা হয়। শাড়ি ১১০ টাকা থেকে শুরু করে প্রকারভেদে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। শার্ট ৫৫ টাকা, পাঞ্জাবি ৬০ থেকে ৭০, স্যুট ২২০, ব্লেজার ১৭০, দরজা-জানালার পর্দা ২৫০ থেকে ৩০০, কম্বল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা নিয়ে থাকে। ঢাকার ভেতরে সাধারণত চার দিনে ধোয়া কাপড় ডেলিভারি দেওয়া হয়ে থাকে।