খাওফের সালাত

 পরিচ্ছেদঃ ৫৯৬. খাওফের সালাত (শত্রুভীতি অবস্থায় সালাত)

وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: (وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنَّ الْكَافِرِينَ كَانُوا لَكُمْ عَدُوًّا مُبِينًا وَإِذَا كُنْتَ فِيهِمْ فَأَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلاَةَ فَلْتَقُمْ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا أَسْلِحَتَهُمْ فَإِذَا سَجَدُوا فَلْيَكُونُوا مِنْ وَرَائِكُمْ وَلْتَأْتِ طَائِفَةٌ أُخْرَى لَمْ يُصَلُّوا فَلْيُصَلُّوا مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِنْ كَانَ بِكُمْ أَذًى مِنْ مَطَرٍ أَوْ كُنْتُمْ مَرْضَى أَنْ تَضَعُوا أَسْلِحَتَكُمْ وَخُذُوا حِذْرَكُمْ إِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُهِينًا

মহিমান্বিত আল্লাহ্‌ বলেনঃ আর যখন তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর তখন সালাত ‘কসর’ করলে তোমাদের কোন গুনাহ হবে নাযদি তমাদের আশংকা হয় যেকাফিরগণ তমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করবে  নিশ্চয়ই কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আর তুমি যখন তাদের মধ্যে অবস্থান করবে  তাদের সঙ্গে সালাত কায়েম করবে তখন তাদের একদল তোমার সঙ্গে যেন দাঁড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তারপর তারা সিজদা করলে তখন তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে  অপর একদল যারা সালাতে শরীক হয় নাইতারা তোমার সঙ্গে যেন সালাতে শরীক হয় এবং তারা যেন সতর্ক  সশস্ত্র থাকে। কাফিররা কামনা করে যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র  আসবাবপত্র সম্মন্ধে অসতর্ক হওযাতে তারা তোমাদের উপর একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমরা বৃষ্টির জন্য কষ্ট পাও বা পীড়িত থাক তবে তোমরা অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নাইকিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে। আল্লাহ্‌ কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন  (সূরা নিসাঃ ১০১–১০২)


৮৯৫। আবূ ইয়ামান (রহঃ) ... শু’আইব (রহঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি যুহরী (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলামনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন অর্থাৎ খাওফের সালাততিনি বললেনআমাকে সালিম (রহঃ) জানিয়েছেন যেআবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেছেনআমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে নাজদ এলাকায় যুদ্ধ করেছিলাম। সেখানে আমরা শত্রুর মুখোমুখী কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ালাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। একদল তাঁর সঙ্গে সালাতে দাঁড়ালেন এবং অন্য একটি দল শত্রুর প্রতি মুখোমুখী অবস্থান করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গে যারা ছিলেন তাঁদের নিয়ে রুকু  দু’টি সিজদা করলেন। এরপর  দলটি যারা সালাত আদায় করেনিতাঁদের স্থানে চলে গেলেন এবং তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে এগিয়ে এলেনতখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের সঙ্গে এক রুকু  দু’টি সিজদা করলেন এবং পরে সালাম ফিরালেন। এরপর তাঁদের প্রত্যেকে উঠে দাঁড়ালেন এবং নিজে নিজে একটি রুকু  দু’টি সিজদা (সহ সালাত) শেষ করলেন।