ঈদের সালাত

পরিচ্ছেদঃ ৬০২. দুই ঈদ ও এতে সুন্দর পোশাক পরা

৯০১। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনবাজারে বিক্রি হচ্ছিল এমন একটি রেশমী জুব্বা নিয়ে উমর (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেনইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এটি কিনে নিন। ঈদের সময় এবং প্রতিনিধি দলের সংগে সাক্ষাতকালে এটি দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করবেন। তথন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ এটি তো তার পোষাকযার (আখিরাতে) কল্যাণের কোন অংশ নেই। এ ঘটনার পর উমর (রাঃ) আল্লাহর যত দিন ইচ্ছা ততদিন অতিবহিত করলেন।

তারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট একটি রেশমী জুব্বা পাঠালেনউমর (রাঃ) তা গ্রহন করেন এবং সেটি নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেনইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তো বলেছিলেনএটা তার পোষাক যার (আখিরাতে) কল্যাণের কোন অংশ নাই। অথচ আপনি এ জু্ব্বা আমার নিকট পাঠিয়েছেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি এটি বিক্রি করে দাও এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থে তোমার প্রয়োজন মিটাও।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৩. ঈদের দিন বর্ষা ও ঢালের খেলা।

৯০২। আহমদ ইবনু ঈসা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন তখন আমার নিকট দু’টি মেয়ে বু’আস যুদ্ধ সংক্রান্ত কবিতা আবৃত্তি করছিল। তিনি বিছানায় শুয়ে পড়লেন এবং চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে রাখলেন। এ সময় আবূ বকর (রাঃ) এলেনতিনি আমাকে ধমক দিয়ে বললেনশয়তানী বাদ্যযন্ত্র (দফ্) বাজানো হচ্ছে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেনতাদের ছেড়ে দাও। তারপর তিনি যখন অন্য দিকে ফিরলেন তখন আমি তাদের ইঙ্গিত করলাম এবং তারা বের হয়ে গেল।

আর ঈদের দিন সুদানীরা বর্শা ও ঢালের দ্বারা খেলা করত। আমি নিজে (একবার) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কছে আরয করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেনতুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাওআমি বললামহ্যাঁতারপর তিনি আমাকে তাঁর পিছনে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যেআমার গাল ছিল তার গালের সাথে লাগান। তিনি তাদের বললেনতোমরা যা করতে ছিলে তা করতে থাকহে বনু আরফিদা। পরিশেষে আমি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়লামতথন তিনি আমাকে বললেনতোমার কি দেখা শেষ হয়েছেআমি বললামহ্যাঁতিনি বললেনতা হলে চলে যাও।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৪. মুসলমানগণের প্রতি উভয় ঈদের রীতিনীতি।

৯০৩। হাজ্জাজ (ইবনু মিনহাল) (রহঃ) ... বারাআ (রাঃ) থেকে বর্নিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুতবা ‍দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ আমাদের আজকের এ দিনে আমরা যে কাজ প্রথম শুরু করবতা হল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা। এরপর ফিরে আসব এবং কুরবানী করব। তাই যে এরূপ করে সে আমাদের রীতিনীতি সঠিকভাবে পালন করল।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৪. মুসলমানগণের প্রতি উভয় ঈদের রীতিনীতি।

৯০৪। উবাইদ ইবনু ইসমায়ীল (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন, (একদিন আমার ঘরে) আবূ বকর (রাঃ) এলেন তখন আমার নিকট আনসার দু’টি মেয়ে বু’আস যুদ্ধের দিন আনসারীগণ পরস্পর যা বলেছিলেন সে সম্পর্কে কবিতা আবৃত্তি করছিল। তিনি বলেনতারা কোন পেশাগত গায়িকা ছিল না। আবূ বকর (রাঃ) বললেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরে শয়তানী বাদ্যযন্ত্র। আর এটি ছিল ঈদের দিন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবূ বকর! প্রত্যেক জাতির জন্যই আনন্দ উসব রয়েছে আর এ হল আমাদের আনন্দ।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৫. ঈদুল ফিতরের দিন বের হওয়ার আগে আহার করা।

৯০৫। মুহাম্মদ ইবনু আবদুর রাহীম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) খেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। অপর এক রিওয়াতে আনাস (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যেতিনি তা বেজোড় সংখ্যক খেতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৬. কুরবানীর দিন আহার করা।

৯০৬। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনসালাতের আগে যে যবেহ করবে তাকে আবার যবেহ (কুরবানী) করতে হবে। তখন এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললআজাকের এদিন গোশত খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা হয়। সে তার প্রতিবেশীদের অবস্থা উল্লেখ করল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন তার কথার সত্যতা স্বীকার করলেন। সে বললআমার নিকট এখন ছয় মাসের এমন একটি মেষ শাবক আছেযা আমার কাছে দু’টি হ্ষ্টপুষ্ট বকরীর চাইতেও বেশী পছন্দনীয়। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা কুরবানী করার অনুমতি দিলেন। অবশ্য আমি জানিনাএ অনুমতি তাকে ছাড়া অন্যদের জন্যও কি না?

পরিচ্ছেদঃ ৬০৬. কুরবানীর দিন আহার করা।

৯০৭। উসমান (রহঃ) ... বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল আযহার দিন সালাতের পর আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দান করেন। খুতবায় বলেনঃ যে আমাদের মত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করল এবং আমাদের মত কুরবানী করলসে কুরবানীর রীতিনীতি যথাযথ পালন করল। আর যে সালাতের আগে কুরবানী করল তা সালাতের আগে হয়ে গেলকিন্তু এতে তার কুরবানী হবে না। বারাআ এর মামা আবূ বুরদাহ্ ইবনু নিয়ার (রাঃ) তখন বললেনইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার জানামতে আজকের দিনটি পানাহারের দিন। তাই আমি পছন্দ করলাম যেআমার ঘরে সর্বপ্রথম যবেহ করা হোক আমার বকরীই। তাই আমি আমার বকরীটি যবেহ করেছি এবং সালাতে আসার পূর্বে তা দিয়ে নাশতাও করেছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার বকরীটি গোশতের উদ্দেশ্যে যবেহ করা হয়েছে। তখন তিনি আরয করলেনইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের কাছে এমন একটি ছয় মাসের মেষ শাবক আছে যা আমার কাছে দু’টি বকরীর চাইতেও পছন্দীয়। এটি (কুরবানী দিলে) কি আমার জন্য যথেষ্ট হবেতিনি বললেনঃ হ্যাঁতবে তুমি ব্যতীত অন্য কারো জন্য যথেষ্ট হবে না।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৭. মিম্বর না নিয়ে ঈদগহে গমন।

৯০৮। সায়ীদ ইবনু আবূ মারয়াম (রহঃ) ... আবূ সায়ীদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে গমন করে সেখানে তিনি প্রথম যে কাজ শুরু করতেন তা হল সালাত (নামায/নামাজ)। আর সালাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন এবং তারা তাঁদের কাতারে বসে থাকতেন। তিনি তাদের নসীহত করতেনউপদেশ দিতেন এবং নির্দেশ দান করতেন। যদি তিনি কোন সেনাদল পাঠাবার ইচ্ছা করতেনতবে তাদের আলাদা করে নিতেন। অথবা যদি কোন বিষয়ে নির্দেশ জারী করার ইচ্ছা করতেন তবে তা জারি করতেন। তারপর তিনি ফিরে যেতেন।

আবূ সায়ীদ (রাঃ) বলেনলোকেরা বরাবর এই নিয়ম অনুসরন করে আসছিল। অবশেষে যখন মারওয়ান মদিনার আমীর হলেনতখন ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের উদ্দেশ্যে আমি তার সঙ্গে বের হলাম। আমরা যখন ঈদগাহে পৌছলাম তখন সেখানে একটি মিম্বর দেখতে পেলামসেটি কাসীর ইবনু সালত (রাঃ) তৈরী করেছিলেন। মারওয়ান সালাত আদায়ের আগেই এর উপর আরোহণ করতে উদ্যত হলেন। আমি তার কাপড় টেনে ধরলাম। কিন্তু কাপড় ছাড়িয়ে খুতবা দিলেন।

আমি তাকে বললামআল্লাহর কসম! তোমরা (রাসুলের সুন্নাত) পরিবর্তন করে ফেলেছ। সে বললহে আবূ সায়ীদ! তোমরা যা জানতেতা গত হয়ে গিয়েছে। আমি বললামআল্লাহর কসম! আমি যা জানিতা তার চেয়ে ভালযা আমি জানিনা। সে তখন বলললোকজন সালাতের পর আমাদের জন্য বসে থাকে নাতাই আমি খুতবা সালাতের আগেই দিয়েছি।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৮. পায়ে হেঁটে বা সাওয়ারীতে আরোহণ করে ঈদের জামাআতে যাওয়া এবং আযান ও ইকামত ছাড়া খুতবার পূর্বে সালাত আদায় করা।

৯০৯। ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। আর সালাত শেষে খুতবা দিতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৮. পায়ে হেঁটে বা সাওয়ারীতে আরোহণ করে ঈদের জামাআতে যাওয়া এবং আযান ও ইকামত ছাড়া খুতবার পূর্বে সালাত আদায় করা।

৯১০। ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন বের হতেন। এরপর খুতবার আগে সালাত (নামায/নামাজ) শুরু করেন। রাবী বলেনআমাকে আতা (রহঃ) বলেছেন যেইবনু যুবায়র (রাঃ) এর বায়’আত গ্রহনের প্রথম দিকে আব্বাস (রাঃ) এ বলে লোক পাঠালেন যেঈদুল ফিতরের সালাতে আযান দেওয়া হত না এবং খুতবা দেওয়া হতো সালাতের পরে। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে এ-ও বর্ণিত আছে যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে প্রথমে সালাত আদায় করলেন এবং পরে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন।

যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা শেষ করলেনতিনি (মিম্বর থেকে) নেমে মহিলাগণের (কাতারে) আসলেন এবং তাদের নসীহত করলেন। তখন তিনি বিলাল (রাঃ) এর হাতে ভর করেছিলেন এবং বিলাল (রাঃ) তার কাপড় জড়িয়ে ধরলেমহিলাগণ এতে সাদাকার বস্তু দিতে লাগলেন। আমি আতা (রহঃ) কে জিজ্ঞাস করলামআপনি কি এখনো যরুরী মনে করেন যেইমাম খুতবা শেষ করে মহিলাগনের নিকট এসে তাদের নসীহত করবেনতিনি বললেননিশ্চয় তা তাদের জন্য অবশ্যই যরুরী। তাদের কি হয়েছে যেতারা তা করবে না?

পরিচ্ছেদঃ ৬০৯. ঈদের সালাতের পর খুতবা।

৯১১। আবূ আসিম (রহঃ)  ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামআবূ বকরউমরএবং উসমান (রাঃ) এর সঙ্গে সালাতে হাযির ছিলাম। তারা সবাই খুতবার আগে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৯. ঈদের সালাতের পর খুতবা।

৯১২। ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ)  ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামআবূ বকর এবং উমর (রাঃ) উভয় ঈদের সালাত (নামায/নামাজ) খুতবার পূর্বে আদায় করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৯. ঈদের সালাতের পর খুতবা।

৯১৩। সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যেনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরে দুরাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। এর আগে ও পরে কোন সালাত আদায় করেননি। তারপর বিলাল (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে মহিলাগনের কাছে এলেন এবং সাদাকা প্রদানের জন্য তাদের নির্দেশ দিলেন। তখন তারা দিতে লাগলেন। কেউ দিলেন আংটিআবার কেউ দিলেন গলার হার।

পরিচ্ছেদঃ ৬০৯. ঈদের সালাতের পর খুতবা।

৯১৪। আদম  বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্নিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনআজকের এ দিনে আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা। এরপর আমরা (বাড়ী) ফিরে আসব এবং কুরবানী করব। কাজেই যে ব্যাক্তি তা করলসে আমাদের নিয়ম পালন করল। যে ব্যাক্তি সালাতের আগে কুরবানী করলতা শুধু গোশত বলেই গন্য হবেযা সে পরিবারবর্গের জন্য আগেই করে ফেলেছে। এতে কুরবানীর কিছুই নেই।

তখন আবূ বুরদা ইবনু নিয়ার (রাঃ) নামক এক আনসারী বললেনইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো (আগেই) যবেহ করে ফেলেছি। এখন আমার নিকট এমন একটি মেষ শাবক আছে যা এক বছর বয়সের মেষের চাইতে উত্তম। তিনি বললেনসেটির স্থলে এটিকে যবেহ করে ফেল। তবে তোমার পর অন্য কারো জন্য তা যথেষ্ঠ হবে না।

পরিচ্ছেদঃ ৬১০. ঈদের জামা’আতে এবং হারাম শরীফে অস্ত্রবহণ নিষিদ্ধ।

وَقَالَ الْحَسَنُ نُهُوا أَنْ يَحْمِلُوا السِّلاَحَ يَوْمَ عِيدٍ إِلاَّ أَنْ يَخَافُوا عَدُوًّا

হাসান বাসরী (রহঃ) বলেছেনশত্রুর ভয় ব্যতীত ঈদের দিনে অস্ত্র বহণ করতে তাদের নিষেধ করা হয়েছে।

৯১৫। যাকারিয়া ইবনু ইয়াহইয়া আবূ সুকাইন (রহঃ) ... সায়ীদ ইবনু জুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি ইবনু উমর (রাঃ) এর সঙ্গে ছিলাম যখন বর্শার অগ্রভাগ তার পায়ের তলদেশে বিদ্ধ হয়েছিল। ফলে তার পা রেকাবের সাথে আটকে গিয়েছিল। আমি তখন নেমে সেটি টেনে বের করে ফেললাম। এ ঘটে ছিল মিনায়। এ সংবাদ হাজ্জাজের নিকট পৌছলে তিনি তাকে দেখতে আসেন। হাজ্জাজ বললোযদি আমি জানতে পারতাম কে আপনাকে আঘাত করেছে, (তাকে আমি শাস্তি দিতাম)। তখন ইবনু উমর (রাঃ) বললেনতুমিই আমাকে আঘাত করেছে। সে বললতা কি ভাবেইবনু উমর (রাঃ) বললেনতুমিই সেদিন (ঈদের দিন) অস্ত্র ধারণ করেছযে দিন অস্ত্র ধারণ করা হত না। তুমিই অস্ত্রকে হারাম শরীফে প্রবেশ করিয়েছঅথচ হারাম শরীফে কখনো অস্ত্র প্রবেশ করা হয় না।

পরিচ্ছেদঃ ৬১০. ঈদের জামা’আতে এবং হারাম শরীফে অস্ত্রবহণ নিষিদ্ধ।

৯১৬। আহমদ ইবনু ইয়াকুব (রহঃ)  সায়ীদ ইবনু আস এর পিতা থেকে বর্ণিততিনি বলেনইবনু উমর (রাঃ) এর নিকট হাজ্জাজ এলো। আমি তখন তার কাছে ছিলাম। হাজ্জাজ জিজ্ঞাসা করলোতিনি কেমন আছেনইবনু উমর (রাঃ) বললেনভাল। হাজ্জাজ জিজ্ঞাসা করলোআপনাকে কে আঘাত করেছেতিনি বললেনআমাকে সে ব্যাক্তি আঘাত করেছে যে সে দিন অস্ত্র ধারণের আদেশ দিয়েছেযে দিন তা ধারণ করা বৈধ নয়। অর্থা হাজ্জাজ।

পরিচ্ছেদঃ ৬১১. ঈদের সালাতের জন্য সকাল সকাল রওয়ানা হওয়া।

وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُسْرٍ إِنْ كُنَّا فَرَغْنَا فِي هَذِهِ السَّاعَةِ، وَذَلِكَ حِينَ التَّسْبِيحِ

আবদুল্লাহ ইবন বুসর (রাঃ) বলেছেনআমরা চাশতের সালাতের সময় ঈদের সালাত সমাপ্ত করতাম।

৯১৭। সুলাইমান ইবনু হারব (রহঃ)  বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিতেন। তিনি বলেনআজাকের দিনে আমাদের প্রথম কাজ হল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা। তারপর ফিরে এসে কুরবানী করা। যে ব্যাক্তি এরূপ করবে সে আমাদের নিয়ম পালন করল। যে ব্যাক্তি সালাতের আগেই যবেহ করবেতা শুধু গোশতের জন্যই হবেযা সে পরিবারের জন্য তাড়াতাড়ি করে ফেলেছে। কুরবানীর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। তখন আমার মামা আবূ বুরদা ইবনু নিয়ার (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেনইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো সালাতের আগেই যবেহ করে ফেলেছি। তবে এখন আমার নিকট এমন একটি মেষশাবক আছে যা ‘মুসিন্না’[1] মেষের চাইতেও উত্তম। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তার স্থলে এটিই কুরবানী করে নাও। অথবা তিনি বললেনঃ এটিই যবেহ কর। তবে তুমি ব্যতীত আর কারো জন্যই মেষশাবক যথেষ্ঠ হবে না।

পরিচ্ছেদঃ ৬১২. তাশরীকের দিনগুলোতে আমলের ফযীলত।

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ أَيَّامُ الْعَشْرِ، وَالأَيَّامُ الْمَعْدُودَاتُ أَيَّامُ التَّشْرِيقِوَكَانَ ابْنُ عُمَرَ وَأَبُو هُرَيْرَةَ يَخْرُجَانِ إِلَى السُّوقِ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ يُكَبِّرَانِ، وَيُكَبِّرُ النَّاسُ بِتَكْبِيرِهِمَاوَكَبَّرَ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ خَلْفَ النَّافِلَةِ

ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেনوَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ দ্বারা (যিলহাজ্জ মাসের) দশ দিন বুঝায় এবং وَالأَيَّامُ الْمَعْدُودَاتُ দ্বারা আইয়ামুত তাশরীক বুঝায়। ইবন ওমর ও আবু হুরায়রা (রাঃ) এই দশ দিন তাকবীর বলতে বলতে বাজারের দিকে যেতেন এবং তাদের তাকবীরের সঙ্গে অন্যরাও তাকবীর বলত। মুহাম্মদ ইবন আলী (রহঃ) নফল সালাতের পরেও তাকবীর বলতেন।

৯১৮। মুহাম্মদ ইবনু আর’আরা (রহঃ)  ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমলঅনান্য দিনের আমলের তুলনায় উত্তম। তারা জিজ্ঞাসা করলেনজিহাদও কি (উত্তম) নয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেলেনঃ জিহাদও নয়। তবে সে ব্যাক্তির কথা স্বতন্ত্রযে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদ করে এবং কিছু্ই নিয়ে আসে না।

পরিচ্ছেদঃ ৬১৩. মিনা এর দিনগুলোতে এবং সকালে আরাফায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলা।

وَكَانَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُكَبِّرُ فِي قُبَّتِهِ بِمِنًى فَيَسْمَعُهُ أَهْلُ الْمَسْجِدِ، فَيُكَبِّرُونَ وَيُكَبِّرُ أَهْلُ الأَسْوَاقِ، حَتَّى تَرْتَجَّ مِنًى تَكْبِيرًاوَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُكَبِّرُ بِمِنًى تِلْكَ الأَيَّامَ وَخَلْفَ الصَّلَوَاتِ، وَعَلَى فِرَاشِهِ وَفِي فُسْطَاطِهِ، وَمَجْلِسِهِ وَمَمْشَاهُ تِلْكَ الأَيَّامَ جَمِيعًاوَكَانَتْ مَيْمُونَةُ تُكَبِّرُ يَوْمَ النَّحْرِوَكُنَّ النِّسَاءُ يُكَبِّرْنَ خَلْفَ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ وَعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزَ لَيَالِيَ التَّشْرِيقِ مَعَ الرِّجَالِ فِي الْمَسْجِدِ

উমর (রাঃ) মিনীয় নিজের তাবূতে তাকবীর বলতেন। মসজিদের লোকেরা তা শুনে তারাও তাকবীর বলতেন এবং বাজারের লোকেরাও তাকবীর বলতেন। ফলে সমস্ত মিনা তাকবীরের আওয়াযে গুঞ্জরিত হয়ে উঠত। ইবন উমর (রাঃ) সে দিনগুলোতে মিনায় তাকবীর বলতেন এবং সালাতের পারেবিছানায়খীমায়মসলিসে এবং চলার সময় এ দিনগুলোতে তাকবীর বলতেন। মাইমুনা (রাঃ) কুরবানীর দিন তাকবীর বলতেন এবং মহিলারা আবান ইবন উসমান ও উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) এর পিছনে তাশরীকের রাতগুলোতে মসজিদে পুরুষদের সংঙ্গে সংঙ্গে তাকবীর বলতেন।

৯১৯। আবূ নু’আইম (রহঃ)  মুহাম্মদ ইবনু আবূ বকর সাকাফী (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনআমরা সকাল বেলা মিনা থেকে যখন আরাফাতের দিকে যাচ্ছিলামতখন আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এর নিকট তালবিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলামআপনারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কিরূপ করতেনতিনি বললেনতালবিয়া পাঠকারী তালবিয়া পড়ততাকে নিষেধ করা হতো না। তাকবীর পাঠকারী তাকবীর পাঠ করততাকেও নিষেধ করা হতো না।

পরিচ্ছেদঃ ৬১৩. মিনা এর দিনগুলোতে এবং সকালে আরাফায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলা।

৯২০। মুহাম্মদ (রহঃ) ... উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনঈদের দিন আমাদের বের হওয়ার আদেশ দেওয়া হত। এমন কি আমরা কুমারী মেয়েদেরকেও অন্দর মহর থেকে বের করতাম এবং ঋতুমতী মেয়েদেরকেও। তারা পুরুষদের পিছনে থাকতো এবং তাদের তাকবীরের সাথে তাকবীর বলতো এবং তাদের দু’আর সাথে দু’আ করত-তারা আশা করত সে দিনের বরকত এবং পবিত্রতা।

পরিচ্ছেদঃ ৬১৪. ঈদের দিন বর্শা সামনে পুতে সালাত আদায়।

৯২১। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিতঈদুল ফিতর ও কুরবানীর দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে বর্শা পুতে দেওয়া হত। তারপর তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬১৫. ঈদের দিন ইমামের সামনে বল্লম অথবা বর্শা বহন করা।

৯২২। ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ... ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সকাল বেলায় ঈদগাহে যেতেনতথন তার সামনে বর্শা বহন করা হতো এবং তার সামনে ঈদগাহে তা স্থাপন করা হতো এবং একে সামনে রেখে তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬১৬. মহিলাদের এবং মাসিকচলা মহিলাদের ঈদগাহে গমন।

৯২৩। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহহাব (রহঃ) ... উম্মে আতীয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন, (ঈদের সালাতের উদ্দেশ্যে) যুবতী ও পর্দানশীন মেয়েদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আদেশ করা হত। আইয়্যুব (রহঃ) থেকে হাফসা (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে এবং হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতে অতিরিক্ত বর্ণনা আছে যেঈদগাহে ঋতুমতী মহিলারা আলাদা থাকতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬১৭. বালকদের ঈদগাহে গমন।

৯২৪। আমর ইবনু আব্বাস (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ঈদুল ফিতর বা আযহার দিন বের হলাম। তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এরপর খুতবা দিলেন। তারপর মহিলাগণের কাছে গিয়ে তাদের উপদেশ দিলেনতাদের নসীহত করলেন এবং তাদেরকে সাদকা দানের নির্দেশ দিলেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬১৮. ঈদের খুতবা দেওয়ার সময় মুসল্লীগণের দিকে ইমামের মুখ করে দাঁড়ানো।

قَالَ أَبُو سَعِيدٍ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقَابِلَ النَّاسِ

আবু সায়ীদ (রাঃ) বলেননবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসল্লীগণের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন।

৯২৫। আবূ নু’আইম (রহঃ) ... বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনএকবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল আযহার দিন বাকী’ (নামক কবরস্থানে) গমন করেন। তারপর তিনি দুরা’আত সালাত (নামায/নামাজ) ‍‌আদায় করেন এরপর আমাদের দিকে মুখ করে দাঁড়ালেন এবং তিনি বলেনআজকের দিনের প্রথম ইবাদাত হল সালাত আদায় করা। এরপর (বাড়ী) ফিরে গিয়ে কুরবানী করা। যে ব্যাক্তি এরূপ করবে সে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করবে। আর যে এর পূর্বেই যবেহ করবে তা হলে তার যবেহ হবে এমন একটি কাজযা সে নিজের পরিবারবর্গের জন্যই তাড়াতাড়ি করে ফেলেছেএর সাথে কুরবানীর কোন সম্পর্ক নেই। তখন এক ব্যাক্তি [আবূ বুরদা ইবনু নিয়ার (রাঃ)] দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেনইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি (তো সালাতের পূর্বেই) যবেহ করে ফেলেছি। এখন আমার নিকট এমন একটি মেষশাবক আছে যা পূর্ণবয়স্ক মেষের চাইতে উত্তম। (এটা কুরবানী করা যাবে কি?) তিনি বললেনএটাই যবেহ কর। তবে তোমার পর আর কারো জন্য তা যথেষ্ট হবে না।

পরিচ্ছেদঃ ৬১৯. ঈদগাহে চিহ্ন রাখা।

৯২৬। মূসাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিততাকে জিজ্ঞাসা করা হয়আপনি কি নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কখনো ঈদে উপস্থিত হয়েছেনতিনি বললেন হ্যাঁ। যদি তার কাছে আমার মর্যাদা না থাকত তা হলে কম বয়সী হওয়ার কারণে আমি ঈদে উপস্থিত হতে পারতাম না। তিনি বের হয়ে কাসীর ইবনু সালাতের গৃহের কাছে স্থাপিত নিশানার কাছে এলেন এবং সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এরপর খুতবা দিলেন। তারপর তিনি মহিলাগনের নিকট উপস্থিত হলেন। তখন তার সঙ্গে বিলাল (রাঃ) ছিলেন। তিনি তখন মহিলাগনের উপদেশ দিলেননসীহত করলেন এবং দান সাদাকা করার জন্য নির্দেশ দিলেন। আমি তখন মহিলাগণের নিজ নিজ হাত বাড়িয়ে বিলাল (রাঃ) এর কাপড়ে দান সামগ্রী ফেলতে দেখলাম। এরপর তিনি এবং বিলাল (রাঃ) নিজ বাড়ীর দিকে চলে গেলেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬২০. ঈদের দিন মহিলাগণের প্রতি ইমামের উপদেশ দেওয়া।

৯২৭। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ইবনু নাসর (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন দাঁড়িয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেনপরে খুতবা দিলেন। খুতবা শেষে নেমে মহিলাগণের নিকট আসলেন এবং তাদের নসীহত করলেন। তখন তিনি বিলাল (রাঃ) এর হাতের উপর ভর দিয়েছিলেন এবং বিলাল (রাঃ) তার কাপড় প্রসারিত করে ধরলেন। মহিলাগণ এতে দান সামগ্রী ফেলতে লাগলেন (‌আমি ইবনু জুরাইজ) আতা (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলামএ কি ঈদুল ফিতরের সাদাকাতিনি বললেন নাবরং এ সাধারণ সাদাকা যা তারা ঐ সময় দিচ্ছিলেন। কোন মহিলা তার আংটি দান করলে অন্যান্য মহিলাগণও তাদের আংটি দান করতে লাগলেন। আমি আতা (রহঃ) কে আবার জিজ্ঞাস করলামমহিলাগণকে উপদেশ দেওয়া কি ইমামের জন্য জরুরীতিনি বললেনঅবশ্যইতাদের উপর তা জরুরী। তাদের (ইমামগণ) কি হয়েছে ‍যেতারা এরূপ করবেন না?

ইবনু জুরাইজ (রহঃ) বলছেনহাসান ইবনু মুসলিম (রহঃ) তাইস (রহঃ) এর মধ্যমে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকরউমর ও উসমান (রাঃ) এর সঙ্গে ঈদুল ফিতরে আমি উপস্থিত ছিলাম। তারা খুতবার আগে সালাত আদায় করতেনপরে খুতবা দিতেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেনআমি যেন দেখতে পাচ্ছি তিনি হাতের ইশারায় (লোকদের) বসিয়ে দিচ্ছেন। এরপর তাদের কাতার ফাঁক করে অগ্রসর হয়ে মহিলাদের কাছে এলেন।

বিলাল (রাঃ) তার সঙ্গে ছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেনঃ‏يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا جَاءَكَ الْمُؤْمِنَاتُ يُبَايِعْنَكَ অর্থ “হে নাবী যখন ঈমানদার মহিলাগণ আপনার নিকট এ শর্তে বায়’আত করতে আসেন (সূরা মুমতাহিনাঃ ১২)। এ আয়াত শেষ করে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞাসা করলেনতোমরা এ বায়’আতের উপর আছতদের মধ্যে একজন মহিলা বললহ্যাঁসে ছাড়া আর কেউ এর জবাব দিল না। হাসান (রহঃ) জানেন নাসে মহিলা কে?

এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সাদাকা কর। সে সময় বিলাল (রাঃ) তার কাপড় প্রসারিত করে বললেনআমার মা-বাপ আপনাদের জন্য কুরবান হোকআসুনআপনারা দান করুন। তখন মহিলাগণ তাদের ছোট-বড় আংটিগুলো বিলাল (রাঃ) এর কাপড়ের মধ্যে ফেলতে লাগলেন। আবদুর রাযযাক (রহঃ) বলেনالْفَتَخُ হল বড় আংটি যা জাহেলী যুগে ব্যবহৃত হত।

পরিচ্ছেদঃ ৬২১. ঈদের সালাতে যাওয়ার জন্য মহিলাগনের ওড়না না থাকলে।

৯২৮। আবূ মা’মার (রহঃ) ... হাফসা বিনত সীরীন (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমরা ঈদের দিন আমাদের যুবতীদের বের হতে নিষেধ করতাম। একবার জনৈক মহিলা এলেন এবং বনু খালাফের প্রাসাদে অবস্থান করলেন। আমি তার নিকট গেলে বললেনতার ভগ্নিপতি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেনএর মধ্যে ছয়টি যুদ্ধে স্বয়ং তার বোনও স্বামীর সাথে অংশগ্রহন করেছেন, (মহিলা বলেন) আমার বোন বলেছেনআমরা রুগ্নদের সেবা করতামআহতদের সেবা করতাম। একবার তিনি প্রশ্ন করেছিলেনইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমাদের কারো ওড়না না থাকেতখন কি সে বের হবেনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনএ অবস্থায় তার বান্ধবী যেন তাকে নিজ ওড়না পরিধান করতে দেয় এবং এভাবে মহিলাগণ যেন কল্যানকর কাজে ও মমিনদের দুআয় অংশগ্রহন করেন।

হাফসা (রাঃ) বলেনযখন উম্মে আতিয়া (রাঃ) এলেনতখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যেআপনি কি এসব ব্যাপারে কিছু শুনছেনতিনি বললেন হ্যাঁহাফসা (রহঃ) বলেনআমার পিতারাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য উসর্গিত হোক এবং তিনি যখনই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম উল্লেখ করতেনতখনই এ কথা বলতেন। তাবুতে অবস্থান-কারিণী যুবতীগণ এবং ঋতুমতী মহিলাগণ যেন বের হন। তবে ঋতুমতী মহিলাগণ যেন সালাত (নামায/নামাজ)-এর স্থান থেকে সরে থাকেন। তারা সকলেই যেন কল্যানকর কাজে ও মুমিনদের দু’আয় অংশগ্রহন করেন। হাফসা (রহঃ) বলেনআমি তাকে বললাম ঋতুমতী মহিলাগণওতিনি বললেনহ্যাঁ ঋতুমতী মহিলা কি আরাফাত এবং অন্যান্য স্থানে উপস্থিত হয় না?

পরিচ্ছেদঃ ৬২২. ঈদগাহে ঋতুমতী মহিলাগনের পৃথক অবস্থান।

৯২৯। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন, (ঈদের দিন) আমাদেরকে বের হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই আমরা ঋতুমতীযুবতী এবং তাবুতে অবস্থানকারীনী মহিলাগণকে নিয়ে বের হতাম। ইবনু আওন (রহঃ) এর এক বর্ণনায় রয়েছেঅথবা তাবুতে অবস্থানকারীনী যুবতী মহিলাগণকে নিয়ে বের হতাম। অতঃপর ঋতুমতী মহিলাগণ মুসলমানদের জামা’আত এবং তাদের দুআতে অংশ গ্রহন করতেন। তবে ঈদগাহে পৃথকভাবে অবস্থান করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬২৩. কুরবানীর দিন ঈদগাহে নাহর ও যবেহ।

৯৩০। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে নাহর করতেন কিংবা যবেহ করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬২৪. ঈদের খুতবার সময় ইমাম ও লোকদের কথা বলা এবং খুতবার সময় ইমামের নিকট কোন প্রশ্ন করা হলে।

৯৩১। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনকরবানীর দিন সালাতের পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে খুতবা দিলেন। খুতবায় তিনি বললেনযে আমাদের মত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে এবং আমাদেরে কুরবানীর মত কুরবানী করবেতার কুরবানী যথার্থ বলে গন্য হবে। আর যে ব্যাক্তি সালাতের পূর্বে কুরবানী করবে তার সে করবানী গোশত খাওয়া ছাড়া আর কিছু হবে না। তখন আবূ বুরদাহ ইবনু নিয়ার (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেনইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর কসম! আমি তো সালাতে (নামাযে) বের হবার পূর্বেই কুরবানী করে ফেলেছি। আমি ভেবেছি যেআজকের দিনটি তো পানাহারের দিন। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে ফেলেছি। আমি নিজে খেয়েছি এবং আমর পরিবারবর্গ ও প্রতিবেশীদেরকেও আহার করায়েছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনওটা গোশত খাওয়ার বকরী ছাড়া আর কিছু হয়নি। আবূ বুরদা (রাঃ) বলেনতবে আমার নিকট এমন একটি মেষ শাবক আছে যা দু’টো (গোশত খাওয়ার) বকরীর চেয়ে ভাল। এটা কি আমার পক্ষে কুরবানীর জন্য যথেষ্ট হবেতিনি বললেনহ্যাঁ তবে তোমার পরে অন্য কারো জন্য যথেষ্ট হবে না।

পরিচ্ছেদঃ ৬২৪. ঈদের খুতবার সময় ইমাম ও লোকদের কথা বলা এবং খুতবার সময় ইমামের নিকট কোন প্রশ্ন করা হলে।

৯৩২। হমিদ ইবনু উমর (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেনতারপর খুতবা দিলেন। এরপর নির্দেশ দিলেনযে ব্যাক্তি সালাতের পূর্বে কুরবানী করেছে সে যেন পুনরায় কুরবানী করে। তখন আনসারগণের মধ্যে থেকে এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার প্রতিবেশীরা ছিল উপবাসী অথবা বলেছেন দরিদ্র। তাই আমি সালাতের পূর্বেই যবেহ করে ফেলেছি। তবে আমার নিকট এমন মেষশাবক আছে যা দু’টি মোটাতাজা বকরীর চাইতেও আমার নিকট অধিক পছন্দসই। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা কুরবানী করার অনুমতি প্রদান করেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬২৪. ঈদের খুতবার সময় ইমাম ও লোকদের কথা বলা এবং খুতবার সময় ইমামের নিকট কোন প্রশ্ন করা হলে।

৯৩৩। মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... জুনদাব ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর দিন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেনএরপর খুতবা দেন। তারপর যবেহ করেন এবং তিনি বলেনসালাতের পূর্বে যে ব্যাক্তি যবেহ করবে তাকে তার স্থলে ‌আর একটি যবেহ করতে হবে। এবং যে যবেহ করেনিআল্লাহর নামে তার যবেহ করা উচি

পরিচ্ছেদঃ ৬২৫. ঈদের দিন ফিরার সময় যে ব্যক্তি ভিন্ন পথে আসে।

৯৩৪। মুহাম্মদ (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন (বাড়ী ফেরার সময়) ভিন্ন পথে আসতেন।

ইউনুস ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় আবূ তুমাইলা ইয়াহইয়া (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন। তবে জাবির (রাঃ) থেকে হাদীসটি অধিকতর সহীহ।

পরিচ্ছেদঃ ৬২৬. কেই ঈদের সালাত না পেলে সে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করবে।

وَكَذَلِكَ النِّسَاءُ، وَمَنْ كَانَ فِي الْبُيُوتِ وَالْقُرَى لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَذَا عِيدُنَا أَهْلَ الإِسْلاَمِ». وَأَمَرَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ مَوْلاَهُمُ ابْنَ أَبِي عُتْبَةَ بِالزَّاوِيَةِ، فَجَمَعَ أَهْلَهُ وَبَنِيهِ، وَصَلَّى كَصَلاَةِ أَهْلِ الْمِصْرِ وَتَكْبِيرِهِمْوَقَالَ عِكْرِمَةُ أَهْلُ السَّوَادِ يَجْتَمِعُونَ فِي الْعِيدِ يُصَلُّونَ رَكْعَتَيْنِ كَمَا يَصْنَعُ الإِمَامُوَقَالَ عَطَاءٌ إِذَا فَاتَهُ الْعِيدُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ

মহিলা এবং যারা বাড়ী ও পল্লীতে অবস্থান করে তারাও এরূপ করবে। কেননানবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে মুসলিমগণ! এ হলো আমাদের ঈদ। আর আনাস ইবন মালিক (রাঃ) যাবিয়া নামক স্থানে তার আযাদকৃত গোলাম ইবন আবু উতবাকে এ আদেশ করেছিলেন। তাই তিনি তার পরিবারবর্গ ও সন্তান সন্ততিদের নিয়ে শহরের অধিবাসীদের ন্যায় তাকবীরসহ সালাত আদায় করেন এবং ইকরিমা (রহঃ) বলেছেনগ্রামের অধিবাসীরা ঈদের দিন সমবেত হয়ে ইমামের ন্যায় দু’রাকা’য়াত সালাত আদায় করবে। আতা (রহঃ) বলেনযখন কারো ঈদের সালাত ছুটে যায় তখন সে দু’রাকা’আত সালাত আদায় করবে।

৯৩৫। ইয়াহইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতআবূ বকর (রাঃ) তার নিকট এলেন। এ সময় মিনার দিবসগুলোর এক দিবসে তার নিকট দু’টি মেয়ে দফ বাজাচ্ছিলনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাদর আবৃত অবস্থায় ছিলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) মেয়ে দুটিকে ধমক দিলেন। তারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখমন্ডল থেকে কাপড় সরিয়ে নিয়ে বললেনহে আবূ বকর! ওদের বাধা দিও না। কেননাএসব ঈদের দিন। আর সে দিনগুলো ছিল মিন‍ার দিন।

আয়িশা (রাঃ) আরো বলেছেনহাবশীরাা যখন মসজিদে (এর প্রাঙ্গনে) খেলাধুলা করছিলতখন আমি তাদের দেখছিলাম এবং আমি দেখছিনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আড়াল করে রেখেছেন। উমর (রাঃ) হাবশীদের ধমক দিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনওদের ধমক দিও না। হে বণু আরফিদা! তোমরা যা করছিলে তা নিশ্চিন্তে কর।

পরিচ্ছেদঃ ৬২৭. ঈদের সালাতের পুর্বে ও পরে সালাত আদায় করা।

وَقَالَ أَبُو الْمُعَلَّى سَمِعْتُ سَعِيدًا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ كَرِهَ الصَّلاَةَ قَبْلَ الْعِيدِ

আবু মু’আল্লা (রহঃ) বলেনআমি সায়ীদ (রাঃ)-কে ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বলতে শুনেছি যেতিনি ঈদের পূর্বে সালাত আদায় করা মাকরূহ মনে করতেন।

৯৩৬। আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ) কে সঙ্গে নিয়ে ঈদুল ফিতরের দিন বের হয়ে দু’রাকাত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। তিনি এর আগে ও পরে কোন সালাত আদায় করেননি।