কসর সালাত

 পরিচ্ছেদঃ ৬৯৫. কসর সম্পর্কে বর্ণনা এবং কতদিন অবস্থান পর্যন্ত কসর চলবে।

১০১৯। মূসা ইবনু ইসমায়ীল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সফরে উনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান করেন এবং সালাত (নামায/নামাজ) কসর করেন। কাজেই (কোথাও) আমরা উনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চাইতে বেশী হলে পুরোপুরি সালাত আদায় করি।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৫. কসর সম্পর্কে বর্ণনা এবং কতদিন অবস্থান পর্যন্ত কসর চলবে।

১০২০। আবূ মা’মার (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গেমদিনাথেকে মক্কায় গমণ করিআমরা মদিনা ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি দু’রাকা’আতদু’রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। (রাবী বলেন) আমি (আনাস (রাঃ)-কে বললামআপনারা মক্কায় কত দিন ছিলেন তিনি বললেনআমরা সেখানে দশ দিন ছিলাম।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৬. মিনায় সালাত।

১০২১। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামআবূ বাকর এবং উমার (রাঃ) এর সঙ্গে মিনায় দু’রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি। উসমান (রাঃ) এর সঙ্গেও তাঁর খিলাফতের প্রথম দিকে দু’ রাকা’আত আদায় করেছি। তারপর তিনি পূর্ণ সালাত আদায় করতে লাগলেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৬. মিনায় সালাত।

১০২২। আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... হারিসা ইবনু ওয়াহব (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরাপদ অবস্থায় আমাদেরকে নিয়ে মিনায় দু’ রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৬. মিনায় সালাত।

১০২৩। কুতায়বা (রহঃ) ... ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) কে বলতে শুনেছিউসমান ইবনু আফফান (রাঃ) আমাদেরকে নিয়ে মিনায় চার রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। তারপর এ সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) কে বলা হলতিনি প্রথমে ‘ইন্না লিল্লাহ্’ পড়লেন। এবপর বললেনআমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মিনায় দু’ রাকা’আত পড়েছিআবূ বকর (রাঃ) এর সঙ্গে মিনায় দু’রাকা’আত পড়েছি এবং উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এর সঙ্গে মিনায় দু’রাকা’আত পড়েছি। কতই না ভাল হতো যদি চার রাকা’আতের পরিবর্তে দু’রাকা’আত মাকবূল সালাত হতো।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৭. নবী করীম () বিদায় হজ্জে কত দিন অবস্থান করেছিলেন?

১০২৪। মূসা ইবনু ইসমায়ীল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ (যিল হাজ্জের) ৪র্থ তারিখ সকালে (মক্কায়) আগমণ করেন এবং তাঁরা হাজ্জের জন্য তালবীয় পাঠ করতে থাকেন। তারপর তিনি তাঁদের হাজ্জ (হজ্জ) কে উমরায় রূপান্তরিত করার নির্দেশ দিলেন। তবে যাঁদের সঙ্গে কুরবানীর জানোয়ার ছিল তাঁরা এ নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত নন। হাদীস বর্ণনায় আতা (রহঃ) আবূল আলিয়াহ (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৮. কত দিনের সফরে সালাত কসর করবে।

وَسَمَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا وَلَيْلَةً سَفَرًاوَكَانَ ابْنُ عُمَرَ وَابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ يَقْصُرَانِ وَيُفْطِرَانِ فِي أَرْبَعَةِ بُرُدٍ وَهْيَ سِتَّةَ عَشَرَ فَرْسَخًا

এক দিন ও এক রাতের সফরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর বলে উল্লেখ করেছেন। ইবন উমর ও ইবন আব্বাস (রাঃ) চার ‘বুরদ’ অর্থা ষোল ফরসাখ দূরত্বে কসর করতেন এবং সাওম পালন করতেন না।


১০২৫। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মহিলাই যেন মাহরাম পুরুষকে সঙ্গে না নিয়ে তিন দিনের সফর না করে।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৮. কত দিনের সফরে সালাত কসর করবে।

১০২৬। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মহিলার সাথে মাহ্‌রাম পুরুষ না থাকলেসে যেন তিন দিনের সফর না করে।

আহমাদ (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনায় উবাইদুল্লাহ (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৮. কত দিনের সফরে সালাত কসর করবে।

১০২৭। আদম (রহঃ)  আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ্ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখেতার পক্ষে কোন মাহ্‌রাম পুরুষকে সাথে না নিয়ে এক দিন ও এক রাত্রির পথ সফর করা জায়িয নয়। ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবূ কাসীর সুহাইল ও মালিক (রহঃ)  হাদীস বর্ণনায় ইবনু আবূ যিব (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৯. যখন নিজ আবাসস্থল থেকে বের হবে তখন থেকেই কসর করবে। আলী (রা.) বের হওয়ার পরই কসর করলেন। অথচ তাঁকে বলা হলএ তো কূফা। তিনি বললেননাযতক্ষণ পর্যন্ত কূফায় প্রবেশ না করি।

১০২৮। আবূ নু’আইম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মদিনায় যুহরের সালাত (নামায/নামাজ) চার রাকা’আত আদায় করেছি এবং যুল-হুলাইফায় আসরের সালাত দু’রাকা’আত আদায় করেছি।

পরিচ্ছেদঃ ৬৯৯. যখন নিজ আবাসস্থল থেকে বের হবে তখন থেকেই কসর করবে। আলী (রা.) বের হওয়ার পরই কসর করলেন। অথচ তাঁকে বলা হলএ তো কূফা। তিনি বললেননাযতক্ষণ পর্যন্ত কূফায় প্রবেশ না করি।

১০২৯। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনপ্রথম অবস্থায় সালাত (নামায/নামাজ) দু’রাকাআত করে ফরয করা হয় তারপর সফরে সালাত (নামায/নামাজ) সে ভাবেই স্থায়ী থাকে এবং মুকীম অবস্থায় সালাত পূর্ণ (চার রাকা’আত) করা হয়েছে। যুহরী (রহঃ) রলেনআমি উরওয়া (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, (মিনায়) আয়িশা (রাঃ) কেন সালাত পূর্ণ আদায় করতেনতিনি বললেনউসমান (রাঃ) যে ব্যাখ্যা প্রহণ করেছেনআয়িশা (রাঃ) তা গ্রহণ করছেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০০. সফরে মাগরিবের সালাত তিন রাকা’আত আদায় করা।

১০৩০। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছিসফরে যখনই তাঁর ব্যস্ততার কারণ ঘটেছেতখন তিনি মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করেছেনএমন কি মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) সফরের ব্যস্ততার সময় অনুরূপ করতেন। অপর এক সূ্ত্রে সালিম (রহঃ) বলেনইবনু উমর (রাঃ) মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। সালিম (রহঃ) আরও বলেনইবনু উমর (রাঃ) তাঁর স্ত্রী সাফীয়্যা বিনত আবূ উবাইদ এর দুঃসংবাদ পেয়ে মদিনা প্রত্যাবর্তনকালে মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করেন। আমি তাঁকে বললামসালাতের সময় হয়ে গেছে। তিনি বললেনচলতে থাক। আমি আবার বললামসালাততিনি বললেনচলতে থাক। এমন কি (এ ভাবে) দু’ বা তিন মাইল অগ্রসর হলেন।

এরপর নেমে সালাত আদায় করলেন। পরে বললেনআমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সফরের ব্যস্ততার সময় এরূপভাবে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখেছি। আবদুল্লাহ (রাঃ) আরো বলেনআমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছিসফরে যখনই তাঁর ব্যস্ততার কারণ ঘটেছেতখন তিনি মাগরিবের সালাত (দেরী করে) আদায় করেছেন এবং তা তিন রাকা’আতই আদায় করেছেন। মাগরিবের সালাম ফিরিয়ে কিছু বিলম্ব করেই ইশার ইকামাত দেওয়া হত এবং দু’ রাকা’আত আদায় করে সালাম ফিরাতেন। কিন্তু ইশার পরে গভীর রাত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতেন না।

পরিচ্ছেদঃ ৭০১. সাওয়ারীর উপরে সাওয়ারী যে দিকে মুখ করে সেদিকে ফিরে নফল সালাত আদায় করা।

১০৩১। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছিতাঁর সাওয়ারী যেদিকেই ফিরেছেতিনি সে দিকেই সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০১. সাওয়ারীর উপরে সাওয়ারী যে দিকে মুখ করে সেদিকে ফিরে নফল সালাত আদায় করা।

১০৩২। আবূ নু’আইম (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওয়ার থাকাবস্থায় কিবলা ছাড়া অন্য দিকে মুখ করে নফল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০১. সাওয়ারীর উপরে সাওয়ারী যে দিকে মুখ করে সেদিকে ফিরে নফল সালাত আদায় করা।

১০৩৩। আবদুল আ’লা ইবনু হাম্মাদ (রহঃ) ... নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনইবনু উমর (রাঃ) তাঁর সাওয়ারীর উপর (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন এবং এর উপর বিতর আদায় করতেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০২. জন্তুর উপর ইশারায় সালাত আদায় করা।

১০৩৪। মূসা ইবনু ইসমায়ীল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনুু্ দ্বীনার (রহঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) সফরে সাওয়ারী যে দিকেই ফিরেছে সে দিকেই মুখ ফিরে ইশারায় সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন এবং আবদুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেনযেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৩. ফরয সালাতের জন্য সাওয়া্রী থেকে অবতরণ করা।

১০৩৫। ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আমীর ইবনু রাবী’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছিতিনি সাওয়ারীর উপর উপবিষ্ট অবস্থায় মাথা দিয়ে ইশারা করে সে দিকেই সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন যে দিকে সাওয়ারী ফিরত। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয সালাতে এরূপ করতেন না।

লাইস (রহঃ) ... সালিম (রহঃ) থেকে বর্ণিতআবদুল্লাহ (রাঃ) সফরকালে রাতের বেলায় সাওয়ারীর উপর থাকা অবস্থায় সালাত আদায় করতেনকোন্ দিকে তাঁর মুখ রয়েছে সে দিকে লক্ষ্য করতেন না এবং ইবনু উমর (রাঃ) বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওয়ারীর উপর নফল সালাত আদায় করেছেনসাওয়ারী যে দিকে মুখ ফিরিয়েছে সেদিকেই এবং তার বিত্‌র ও আদায় করেছেন। কিন্তু সাওয়রীর উপর ফরয সালাত আদায় করতেন না।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৩. ফরয সালাতের জন্য সাওয়া্রী থেকে অবতরণ করা।

১০৩৬। মু’আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওয়ারীর উপর থাকা অবস্থায় পূর্ব দিকে ফিরেও সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। কিন্তু যখন তিনি ফরয সালাত আদায় করার ইচ্ছা করতেনতখন তিনি সাওয়ারী থেকে নেমে যেতেন এবং কিব্‌লামুখী হতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৪. গাধার উপর নফল সালাত আদায় করা।

১০৩৭। আহমদ ইবনু সায়ীদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআনাস ইবনু মালিক (রাঃ) যখন শাম (সিরিয়া) থেকে ফিরে আসছিলেনতখন আমরা তাঁকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করার জন্য এগিয়ে এসেছিলাম। আইনুত্ তাম্‌র (নামক) স্থানে আমরা তাঁর সাক্ষা পেলাম। তখন আমি তাঁকে দেখলাম গাধার পিঠে (আরোহী অবস্থায়) সামনের দিকে মুখ করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। অর্থা কিবলার বাম দিকে মুখ করে। তখন তাঁকে আমি প্রশ্ন করলামআপনাকে তো দেখলাম কিব্‌লা ছাড়া অন্য দিকে মুখ করে সালাত আদায় করছেনতিনি বললেনযদি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এরূপ করতে না দেখতামতবে আমিও তা করতাম না।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৫. সফরকালে ফরয সালাতের আগে ও পরে নফল সালাত আদায় না করা।

১০৩৮। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সুলাইমান (রহঃ) ... হাফস ইবনু আসিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত যেইবনু উমর (রাঃ) একবার সফর করেন এবং বলেনআমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্যে থেকেছিসফরে তাঁকে নফল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখিনি এবং আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ “নিশ্চই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। (সূরা আহযাবঃ ২১১)

পরিচ্ছেদঃ ৭০৫. সফরকালে ফরয সালাতের আগে ও পরে নফল সালাত আদায় না করা।

১০৩৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... হাফস ইবনু আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনইবনু উমর (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যেআমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহচর্যে থেকেছিতিনি সফরে দু’ রাকা’আতের অধিক নফল আদায় করতেন না। আবূ বক্‌রউমর ও উসমান (রাঃ) এর এ রীতি ছিল।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৬. সফরে ফরয সালাতের আগে ও পরে নফল আদায় করা।

وَرَكَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ فِي السَّفَرِ

সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দু’ রাকা’আত (সুন্নাত) আদায় করেছেন।


১০৪০ হাফস ইবনু উমর (রহঃ) ... ইবনু আবূ লায়লা (রহঃ) থেকে বর্ণিতউম্মে হানী (রাঃ) ব্যতিত অন্য কেউ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাতুয যুহা (পূর্বাহ্ন এর সালাত) আদায় করতে দেখেছেন বলে আমাদের জানাননি। তিনি [উম্মে হানী (রাঃ)] বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন তাঁর ঘরে গোসল করার পর আট রাকা’আত সালাত আদায় করেছেন। আমি তাঁকে এর চাইতে সংক্ষিপ্ত কোন সালাত আদায় করতে দেখিনিতবে তিনি রুকূ’ ও সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করেছিলেন।

লায়স (রহঃ) আমির ইবনু রাবীআ’) (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাতের বেলা বাহনের পিঠে বাহনের গতিমুখী হয়ে নফল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখেছেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৬. সফরে ফরয সালাতের আগে ও পরে নফল আদায় করা।

১০৪১। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সফরে) তাঁর বাহনের পিঠে এর গতিমুখী হয়ে মাথার ইশারা করে নফল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। আর ইবনু উমর (রাঃ)-ও তা করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৭. সফরে মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করা।

১০৪২। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দ্রুত সফর করতেনতখন মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। ইবরাহীম ইবনু তাহমান (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনসফরে দ্রুত চলার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহ্‌র ও আসরের সালাত (নামায/নামাজ) একত্রে আদায় করতেন আর মাগরিব ইশা একত্রে আদায় করতেন।

আর হুসাইন (রহঃ) আনাস ইবনু মলিক (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরকালে মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করতেন এবং আলী ইবনু মুবারকও হারব (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় হুসাইন (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন যেনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একত্রে আদায় করেছেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৮. মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করলে আযান দিবেনা ইকামাত?

১০৪৩। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি যখন সফরে তাঁকে দ্রুত পথ অতিক্রম করতে হততখন মাগরিবের সালাত (নামায/নামাজ) এত বিলম্বিত করতেন যে মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। সালিম (রহঃ) বলেনআবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ)-ও দ্রুত সফরকালে অনুরূপ করতেন। তখন ইকামতের পর মাগরিব তিন রাকা’আত আদায় করতেন এবং সালাম ফিরাতেন। তারপর অল্প সময় অপেক্ষা করেই ইশা-এর ইকামাত দিয়ে তা দু’রাকা’আত আদায় করে সালাম ফিরাতেন। এ দু’য়ের মাঝে কোন নফল সালাত আদায় করতেন না এবং ইশার পরেও না। অবশেষে মধ্যরাতে (তাহাজ্জুদের জন্য) উঠতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৮. মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করলে আযান দিবেনা ইকামাত?

১০৪৪। ইসহাক (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে এ দু’ সালাত (নামায/নামাজ) একত্রে আদায় করতেন অর্থা মাগরিব ও ইশা।

পরিচ্ছেদঃ ৭০৯. সূর্য ঢলে পড়ার আগে সফরে রওয়ানা হলে যুহরের সালাত আসরের সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করা।

فِيهِ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রাঃ) এর বর্ণনা রয়েছে।


১০৪৫। হাসসান ওয়াসেতী (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ঢলে পড়ার আগে সফর শুরু করলে আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত (পূর্ব পর্যন্ত) যুহ্‌র বিলম্বিত করতেন এবং উভয় সালাত (নামায/নামাজ) একত্রে আদায় করতেন। আর (সফর শুরু করার আগেই) সূর্য ঢলে গেলে যুহর আদায় করে নিতেন। এরপর (সফরের উদ্দেশ্যে) আরোহণ করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭১০. সূর্য ঢলে পড়ার পর সফর শুরু করলে যুহরের সালাত আদায় করে সাওয়ারীতে আরোহণ করা।

১০৪৬। কুতাইবা ইবনু সায়ীদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ঢলে পড়ার আগে সফর শুরু করলে আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত যুহরের সালাত (নামায/নামাজ) বিলম্বিত করতেন। তারপর অবতরণ করে দু’ সালাত একসাথে আদায় করতেন। আর যদি সফর শুরু করার আগেই সূর্য ঢলে পড়তো তাহলে যুহ্‌রের সালাত আদায় করে নিতেনতারপর বাহনে আরোহণ করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭১১. উপবিষ্ট ব্যক্তির সালাত।

১০৪৭। কুতাইবা ইবনু সায়ীদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে সালাত আদায় করলেনতখন তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই তিনি বসে বসে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন এবং এক দল সাহাবী তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে লাগলেন। তখন তিনি বসে পড়ার জন্য তাদের প্রতি ইশারা করলেন। তারপর সালাত শেষ করে তিনি বললেনঃ ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁকে অনুসরণ করার উদ্দেশ্যে কাজেই তিনি রুকূ’ করলে তোমরা রুকূ’ করবে এবং তিনি মাথা উঠালে তোমরাও মাথা উঠাবে।

পরিচ্ছেদঃ ৭১১. উপবিষ্ট ব্যক্তির সালাত।

১০৪৮। আবূ নু’আইম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া থেকে পড়ে গেলেন। এতে আঘাত লেগে তাঁর ডান পাশের চামড়া ছিলে গেল। আমরা তাঁর রোগের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য তাঁর কাছে গেলাম। ইতিমধ্যে সালাতের সময় হলে তিনি বসে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। আমরাও বসে সালাত আদায় করলাম। পরে তিনি বললেনঃ ইমাম তো নির্ধারণ করা হয় তাকে অনুসরণ করার জন্য। কাজেই তিনি তাকবীর বললেতোমরাও তাকবীর বলবেরুকূ’ করলে তোমরাও রুকূ’ করবেতিনি মাথা উঠালে তোমরাও মাথা উঠাবে। তিনি যখন (سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ) বলে তখন তোমরা বলবে (رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ)

পরিচ্ছেদঃ ৭১১. উপবিষ্ট ব্যক্তির সালাত।

১০৪৯। ইসহাক ইবনু মানসূর ও ইসহাক (ইবনু ইব্রাহীম) (রহঃ) ... ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি ছিলেন অর্শরোগীতিনি বললেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বসে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ যদি কেউ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে তবে তা-ই উত্তম। আর যে ব্যাক্তি বসে সালাত আদায় করবেতার জন্য দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব আর যে শুয়ে আদায় করবে তার জন্য বসে আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব।

পরিচ্ছেদঃ ৭১২. উপবিষ্ট ব্যক্তির ইশারায় সালাত আদায়।

১০৫০। আবূ মা’মার (রহঃ) ... ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি ছিলেন অর্শরোগীতিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বসে সালাত (নামায/নামাজ) আদায়কারী ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনযে ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করল সে উত্তম। আর যে ব্যাক্তি বসে সালাত আদায় করল তার জন্য দাঁড়ান ব্যাক্তির অর্ধেক সাওয়াব। আর যে শুয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলতার জন্য বসে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সাওয়াব।

আবূ আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেনআমার মতে এ হাদীসেنَائِمًا (নিদ্রিত) এর দ্বারাمُضْطَجِعًا (শুয়া) অবস্থা বুঝানো হয়েছে।

পরিচ্ছেদঃ ৭১৩. বসে সালাত আদায় করতে না পারলে কাত হয়ে শুয়ে সালাত আদায় করবে।

وَقَالَ عَطَاءٌ إِنْ لَمْ يَقْدِرْ أَنْ يَتَحَوَّلَ إِلَى الْقِبْلَةِ صَلَّى حَيْثُ كَانَ وَجْهُهُ

আতা (রহঃ) বলেনকিবলার দিকে মুখ করতে অক্ষম ব্যক্তি যে দিকে সম্ভব সে দিক মুখ করে সালাত আদায় করবে।


১০৫১। আবদান (রহঃ) ... ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনআমার অর্শরোগ ছিল। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে সালাত সম্পর্কে প্রশ্ন করলামতিনি বললেনঃ দাঁড়িয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবেতাতে সমর্থ না হলে বসেযদি তাতেও সক্ষম না হও তাহলে কাত হয়ে শুয়ে।

পরিচ্ছেদঃ ৭১৪. বসে সালাত আদায় করলে সুস্থ হয়ে গেলে কিংবা একটু হালকাবোধ করলেবাকী সালাত (দাঁড়িয়ে) পূর্ণভাবে আদায় করবে।

وَقَالَ الْحَسَنُ إِنْ شَاءَ الْمَرِيضُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ قَائِمًا وَرَكْعَتَيْنِ قَاعِدًا

হাসান (রহঃ) বলেছেনঅসুস্থ ব্যক্তি ইচ্ছা করলে দু’রাকা’আত সালাত বসে এবং দু’রাকা’আত দাঁড়িয়ে আদায় করতে পারে।


১০৫২। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অধিক বয়সে পৌঁছার আগে কখনো রাতের সালাত (নামায/নামাজ) বসে আদায় করতে দেখেননি। (বার্ধক্যের) পরে তিনি বসে কিরাআত পাঠ করতেন। যখন তিন রুকূ’ করার ইচ্ছা করতেনতখন দাঁড়িয়ে যেতেন এবং প্রায় ত্রিশ কিংবা চল্লিশ আয়াত তিলাওয়াত করে রুকূ’ করতেন।

পরিচ্ছেদঃ ৭১৪. বসে সালাত আদায় করলে সুস্থ হয়ে গেলে কিংবা একটু হালকাবোধ করলেবাকী সালাত (দাঁড়িয়ে) পূর্ণভাবে আদায় করবে।

১০৫৩। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে সালাত আদায় করতেন। বসেই তিনি কিরাআত পাঠ করতেন। যখন তাঁর কিরাআতের প্রায় ত্রিশ বা চল্লিশ আয়াত বাকী থাকততখন তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন এবং দাঁড়িয়ে তা তিলাওয়াত করতেনতারপর রুকূ’ করতেনপরে সিজ্‌দা করতেন। দ্বিতীয় রাকা’আতেও অনুরূপ করতেন। সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করে তিনি লক্ষ্য করতেনআমি জাগ্রত থাকলে আমার সাথে বাক্যালাপ করতেন আর ঘুমিয়ে থাকলে তিনিও শুয়ে পড়তেন।