চারদিকে শুধু ভেজালের
ছড়াছড়ি। সবকিছুতে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রণ। খাবারের সাথে সবাই খাচ্ছে বিষ। তাই মানুষ
দিকবিদিক ছুটছে ফ্রেশ খাবারের খোঁজে।
এ পরিস্থিতিতে এগিয়ে
আসতে পারেন আপনিও। স্বল্প পুঁজিতে শুরু করতে পারেন জুস ব্যবসায়। সবাইকে দিতে পারেন
কেমিক্যালমুক্ত প্রাকৃতিক পানীয় বা ন্যাচারাল জুসের স্বাদ। নিজেও করতে পারেন ভাগ্য
পরিবর্তন।
জুসের উপকারিতা
জুসের আছে অনেক উপকারিতা।
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে এক চুমুকেই। এটি মানবদেহের পানি স্বল্পতা পূরণে
বিরাট ভূমিকা পালন করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল থেকে তৈরি করা হয়
জুস। যার কারণে এটি ভিটামিন সি -এর চাহিদা পূরণ করে।
সম্ভাবনা
কেমিক্যালের কারণে
এখনকার অধিকাংশ খাবার বিষাক্ত। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিষমুক্ত খাবার।
ফলে প্রাকৃতিক জুসের চাহিদা বাড়ছে দিন দিন।
মূলধন
এ ব্যবসায়ে বেশি
উপকরণ লাগে না। তাই খুব বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। ব্যবহৃত সবগুলো জিনিস দেশী।
ফলে এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকায় এ ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
জায়গা নির্বাচন
এ ব্যবসায়ে জায়গা
নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য জনবহুল জায়গা বাছাই করতে হবে। স্কুল,
কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের
পাশে হলে ভালো হয়। দোকানের জন্য অনেক বড় জায়গার দরকার নেই। শুধু দোকানের ভেতর দুই
জন লোক ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা থাকলে চলবে।
প্রয়োজনীয় উপরকরণ
এ ব্যবসায়ে প্রধান
উপকরণ হচ্ছে- বরফের জন্য আইস মেশিন বা ফ্রিজ, জুস তৈরির জন্য বেলেন্ডার, পানির জন্য একটি ফিল্টার। পরিবেশনের জন্য জুস গ্লাস।
এ ছাড়া ফল রাখার জন্য ডিসপ্লে।
প্রাপ্তি স্থান
ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো
যে কোনো ইলেকট্রনিক্স শো-রুমে থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আর কাঁচামাল বা ফলমূল নিজস্ব বাগান
কিংবা ফলের দোকান বা বেপারিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
বিভিন্ন ধরনের জুস
বিভিন্ন ফল দিয়েই
জুস তৈরি করা যায়। তার মধ্যে অ্যাপেল জুস, ম্যাংগো জুস, বেনানা মিল্কশেক, আমসত্ব, লেবুজল, আদাজল, মৌরিজল, তেঁতুলজল,
ত্রিফলাজল, কারাঙ্গাঁজল, বেলপানি, কমলাজল, মালটাজল, মাঠা, তরমুজপানি, আমড়াজল, আনারসপানি, পেয়ারাজল, লটকনপানি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
আয়-রোজগার
আয় রোজগারের ব্যাপারে
মোহাম্মদপুরের জুসবারের স্বত্ত্বাধিকারী মোতাহার আকন্দ বলেন, দৈনিক আড়াই হাজার টাকা করে বিক্রি করলে মাসে নিট
লাভ করা যাবে প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
প্রশিক্ষণ
এ বিষয়ে কোর্স করানোর
কোনো প্রতিষ্ঠানের কথা জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনসহ কিছু প্রতিষ্ঠান
খাবার বিষয়ক স্বল্প মেয়াদি কোর্স করিয়ে থাকে। সেসব কোর্সে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে
জুস তৈরির বিষয়টি আলোচিত হয়। তাছাড়া অভিজ্ঞ জুস ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে এ
ব্যবসা শুরু করতে পারেন। দরকারে একজন দক্ষ শেফ রাখতে পারেন।
0 comments:
মন্তব্য করুন