সূচনা
কথা
স্ট্রবেরী
জীবন রক্ষাকারী নানা পুষ্টি উপাদানে
সমৃদ্ধ। এতে
আছে ভিটামিন এ, সি, ই,
ফলিক এসিড, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম,
পলিফেনল, এলাজিক এসিড, ফেরালিক
এসিড, কুমারিক এসিড, কুয়েরসিটিন, জ্যান্থোমাইসিন
ও ফাইটোস্টেরল। এদের
মধ্যে এলাজিক এসিড ক্যান্সার,
বার্ধক্য, যৌনরোগ প্রতিরোধের গুণাগুণ
আছে বলে জানা গেছে। রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. মনজুর
হোসেন ১৯৯৬ সালে জাপান
থেকে একটি স্বল্প দিবা
দৈর্ঘ্য জাতের স্ট্রবেরী বাংলাদেশে
আবাদের চেষ্টা করেন।
কিন্তু তিনি প্রথমে দেখতে
পান যে, এই জাতটি
রানারের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি হচ্ছে না।
এমনকি ফলের আকার অনেক
ছোট হচ্ছে। যা
বাণিজ্যিকভাবে চাষের উপযোগী নয়। পরে
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত টিস্যু কালচার ল্যাবে
গত কয়েক বছর গবেষণার
মাধ্যমে একটি জাত উদ্ভাবনে
সক্ষম হন। যা
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা সম্ভব। তার
জাতটির নাম এস.টি
-৩।
এটি অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে মাঠে লাগালে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফলন দেবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান প্রতি গাছ থেকে উক্ত চার মাসে ২৫০-৩০০ গ্রাম পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। প্রতিটি স্ট্রবেরী গড় ওজন ১০ থেকে ১৫ গ্রাম। অধ্যাপক ড. এম. মনজুর হোসেন গত ৩ বছর ধরে রাজশাহী মহানগীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ভদ্রায় আকাফুজি নার্সারীতে এটি সফলভাবে চাষ করে আসছেন। এ বছর তিনি বাংলাদেশ স্ট্রবেরী এ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় চারা সরবরাহ করছেন। অধ্যাপক মনজুর আরও বলেছেন, বাংলাদেশের সব এলাকার সব মাটিতেই স্ট্রবেরী চাষ সম্ভব বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে বেলে দো-আঁশ মাটি সর্বোত্তম। উজ্জ্বল সূর্যালোকিত খোলামেলা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাযুক্ত জমি নির্বাচন করতে হবে। মাটির অম্লতা বা ক্ষারতা হতে হবে ৬.০ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে। এজন্য স্ট্রবেরী চাষের আগে মাটির অম্লতা বা ক্ষারতা এবং পুষ্টিমাত্রা পরীক্ষা করে সে অনুযায়ী চাষ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। উঁচু মান ও ফলন পাওয়ার জন্য দিনের তাপমাত্রা ২০-২৬ক্ক সে. এবং রাতের তাপমাত্রা ১২-১৬ক্ক সে. হলে ভাল হয়। দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা সূর্যালোকের উপস্থিতি স্ট্রবেরীর বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভাল। দিনের দৈর্ঘ্য ১৪ ঘন্টার কম হলে স্ট্রবেরীর ফুল আসতে শুরু করে। তাপমাত্রা ৩৮ক্ক সে. এর বেশি হলে স্ট্রবেরীর গাছ মারা যায়।
এটি অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে মাঠে লাগালে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফলন দেবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান প্রতি গাছ থেকে উক্ত চার মাসে ২৫০-৩০০ গ্রাম পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। প্রতিটি স্ট্রবেরী গড় ওজন ১০ থেকে ১৫ গ্রাম। অধ্যাপক ড. এম. মনজুর হোসেন গত ৩ বছর ধরে রাজশাহী মহানগীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ভদ্রায় আকাফুজি নার্সারীতে এটি সফলভাবে চাষ করে আসছেন। এ বছর তিনি বাংলাদেশ স্ট্রবেরী এ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় চারা সরবরাহ করছেন। অধ্যাপক মনজুর আরও বলেছেন, বাংলাদেশের সব এলাকার সব মাটিতেই স্ট্রবেরী চাষ সম্ভব বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে বেলে দো-আঁশ মাটি সর্বোত্তম। উজ্জ্বল সূর্যালোকিত খোলামেলা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাযুক্ত জমি নির্বাচন করতে হবে। মাটির অম্লতা বা ক্ষারতা হতে হবে ৬.০ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে। এজন্য স্ট্রবেরী চাষের আগে মাটির অম্লতা বা ক্ষারতা এবং পুষ্টিমাত্রা পরীক্ষা করে সে অনুযায়ী চাষ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। উঁচু মান ও ফলন পাওয়ার জন্য দিনের তাপমাত্রা ২০-২৬ক্ক সে. এবং রাতের তাপমাত্রা ১২-১৬ক্ক সে. হলে ভাল হয়। দিনে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা সূর্যালোকের উপস্থিতি স্ট্রবেরীর বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভাল। দিনের দৈর্ঘ্য ১৪ ঘন্টার কম হলে স্ট্রবেরীর ফুল আসতে শুরু করে। তাপমাত্রা ৩৮ক্ক সে. এর বেশি হলে স্ট্রবেরীর গাছ মারা যায়।
এক প্রাথমিক হিসাবে দেখা গেছে
যে ১ বিঘা জমিতে
স্ট্রবেরী চাষ করলে খরচ
হয় প্রায় দেড় লাখ
টাকা এবং ছয় মাসে
আয় হয় প্রায় ৪
লাখ টাকা। এক্ষেত্রে
১ বিঘা জমিতে প্রয়োজনীয়
৬ হাজার চারার মূল্য
ধরা হয়েছে ১লাখ ২০হাজার
টাকা এবং উৎপাদিত দেড়
হাজার কেজি স্ট্রবেরীর প্রতি
কেজির মূল্য ধরা হয়েছে
২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ঢাকার
বিভিন্ন সুপার মার্কেটগুলোতে বিদেশ
থেকে আমদানি হয়ে আসা
স্ট্রবেরী পাওয়া যায় বর্তমানে
যার প্রতি কেজির মূল্য
১ হাজার থেকে দেড়
হাজার টাকা।
স্ট্রবেরি চাষের এলাকা:
শীতের
দেশে স্ট্রবেরি ভালো হয়।
গরমের দেশে গাছ হয়
কিন' সহজে ফল হতে
চায় না। কিন'
গবেষকদের প্রচেষ্টায় এদেশে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু
জাতের চাষ হচ্ছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলায় স্ট্রবেরি
ফলানো সম্ভব হয়েছে।
বিশেষ করে যেসব জেলায়
শীত বেশি পড়ে ও
বেশিদিন থাকে সেসব এলাকায়
স্ট্রবেরি চাষ করা যেতে
পারে। পঞ্চগড়,
রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এমনকি পাবনা, নাটোরেও
চাষ করা যায়।
উপযুক্ত
মাটি:
বেলে দোঁআশ ও মাটিতে
প্রচুর জৈব সার প্রয়োগ
করে স্ট্রবেরি ফলানো যায়।
যেসব জমিতে পানি জমে
সেখানে স্ট্রবেরি ফলানো যাবে না।
চারা তৈরি:
স্ট্রবেরির
চারা এখনও তেমন সহজে
পাওয়া যায় না।
বিশেষ করে কাঙ্ক্ষিত চারা
অবশ্যই বিশ্বস- কোনো নার্সারি থেকে
সংগ্রহ করা দরকার।
স্ট্রবেরি গাছগুলো গুল্ম ও লতা
জাতীয় গাছ বলে গাছের
গোড়া থেকে বেশ কিছু
লম্বা লম্বা লতা মাটির
উপর দিয়ে লতিয়ে যায়। মাটির
সংস্পর্শে লতার গিট থেকে
শিকড় গজায়। শিকড়যুক্ত
গিট কেটে নিয়ে মাটিতে
পুতে দিলে নতুন চারা
তৈরি হবে। অর্ধেক
মাটি অর্ধেক গোবর সার
মিশিয়ে পলিব্যাগে ভরে একটি করে
শিকড়যুক্ত গিটসহ লতা পুঁতে
দিতে হয়। এক্ষেত্রে
একটি গাছ থেকে ১৮-২০ টি চারা
তৈরি করা সম্ভব।
জমি তৈরি:
জমি ভালভাবে চাষ করে পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন করে অন-ত
৩০ সেন্টিমিটার গভীর করে জমি
চাষ দিতে হবে।
যেহেতু স্ট্রবেরি গাছের শিকড় মাটির
উপর দিকে থাকে সেজন্য
মাটি ঝুরঝুরা করে নির্ধারিত মাত্রায়
সার মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে
দিতে হবে।
চারা রোপণ:
স্ট্রবেরির
চারা মধ্যঅক্টোবর থেকে মধ্যডিসেম্বর পর্যন-
রোপণ করা যায়।
তবে নভেম্বর মাস স্ট্রবেরি চারা
রোপণের জন্য সবচে ভাল। জমি
তৈরির পর লাইন থেকে
লাইনের দূরত্ব হবে ৫০
সেন্টিমিটার ও প্রতি সারিতে
৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে স্ট্রবেরির
চারা লাগাতে হয়।
বৃষ্টি হলে ক্ষেত থেকে
অতিরিক্ত পানি সরিয়ে দিতে
হবে না হলে গাছ
পঁচে যাবে।
সার প্রয়োগ ও সেচ:
স্ট্রবেরির
জন্য দরকার প্রচুর জৈব
সার। এজন্য
প্রতি একরে ৫০-৬০
কেজি ইউরিয়া সার, ৭০ কেজি
টিএসপি সার এবং ৮০
কেজি এমওপি সার প্রয়োগ
করতে হবে। এসব
সারকে সমান দুভাগে ভাগ
করে একভাগ দিতে হয়
ফুল আসার একমাস আগে
এবং অন্য ভাগ দিতে
হবে ফুল ফোটার সময়। ফল
ধরা শুরু হলে ২-৩ দিন পর
পরই সেচ দিতে হবে।
অন্যান্য
যত্ন:
স্ট্রবেরি
গাছে ফুল ধরাতে চাইলে
বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গাছ
লাগানোর পর তার গোড়া
থেকে প্রচুর রানার বা
কচুর লতির মতো লতা
বের হতে থাকে।
এগুলো জমি ঢেকে ফেলে। এতে
ফলন ভাল হয় না। এসব
লতা যাতে কম বের
হয় সেজন্য গাছের গোড়ায়
খড় বা পলিথিন বিছিয়ে
দিতে হয়। পলিথিন
সিট ৩০ সেন্টিমিটার পর
গোলাকার ছিদ্র করে স্ট্রবেরি
গাছের ঝোপকে মুঠো করে
ঢুকিয়ে দিতে হয়।
বেশি ফলন ও তাড়াতাড়ি
ফল পেতে হরমোন গাছ
পাতায় সেপ্র করা যেতে
পারে।
ফল সংগ্রহ ও বিক্রি:
কাঁচা
ফল যখন হলদে বা
লালচে রঙের হতে শুরু
করে তখন বুঝা যাবে
ফল পাকা শুরু হয়েছে। ফল
পুরো পাকলে লাল হয়ে
যায়। তবে
বিক্রির জন্য ফল পুরো
লাল হওয়ার দরকার নেই। সেক্ষেত্রে
ফলগুলো শক্ত থাকা অবস'ায় তুলতে হবে। আর
ফল তুলতে হবে বোটা
সমেত। পরে
কাগজের প্যাকেটে করে বাজারজাত করতে
হবে। ফল
তোলার পর ১০-১২
দিন পর্যন- ভালো থাকে। গড়ে
প্রতি গাছে ১৫০-২০০
গ্রাম ফল ধরে।
ফলটি এদেশে নতুন তাই
ঝুঁকিও বেশি। তবুও
মেধা ও বুদ্ধি প্রয়োগ
করে স্ট্রবেরি চাষ একদিন লাভজনক
ব্যবসায় পরিণত হবে সে
কথা বলা যায়।
শীতের
দেশে স্ট্রবেরি ভালো হয়।
গরমের দেশে গাছ হয়
কিন্তু সহজে ফল হতে
চায় না। কিন্তু
গবেষকদের প্রচেষ্টায় এদেশে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু
জাতের চাষ হচ্ছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলায় স্ট্রবেরি
ফলানো সম্ভব হয়েছে।
বিশেষ করে যেসব জেলায়
শীত বেশি পড়ে ও
বেশিদিন থাকে সেসব এলাকায়
স্ট্রবেরি চাষ করা যেতে
পারে। পঞ্চগড়,
রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এমনকি পাবনা, নাটোরেও
চাষ করা যায়।
উপযুক্ত মাটি:
বেলে দোঁআশ ও মাটিতে
প্রচুর জৈব সার প্রয়োগ
করে স্ট্রবেরি ফলানো যায়।
যেসব জমিতে পানি জমে
সেখানে স্ট্রবেরি ফলানো যাবে না।
চারা তৈরি:
স্ট্রবেরির
চারা এখনও তেমন সহজে
পাওয়া যায় না।
বিশেষ করে কাঙ্ক্ষিত চারা
অবশ্যই বিশ্বস- কোনো নার্সারি থেকে
সংগ্রহ করা দরকার।
স্ট্রবেরি গাছগুলো গুল্ম ও লতা
জাতীয় গাছ বলে গাছের
গোড়া থেকে বেশ কিছু
লম্বা লম্বা লতা মাটির
উপর দিয়ে লতিয়ে যায়। মাটির
সংস্পর্শে লতার গিট থেকে
শিকড় গজায়। শিকড়যুক্ত
গিট কেটে নিয়ে মাটিতে
পুতে দিলে নতুন চারা
তৈরি হবে। অর্ধেক
মাটি অর্ধেক গোবর সার
মিশিয়ে পলিব্যাগে ভরে একটি করে
শিকড়যুক্ত গিটসহ লতা পুঁতে
দিতে হয়। এক্ষেত্রে
একটি গাছ থেকে ১৮-২০ টি চারা
তৈরি করা সম্ভব।
জমি তৈরি:
জমি ভালভাবে চাষ করে পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন করে অন-ত
৩০ সেন্টিমিটার গভীর করে জমি
চাষ দিতে হবে।
যেহেতু স্ট্রবেরি গাছের শিকড় মাটির
উপর দিকে থাকে সেজন্য
মাটি ঝুরঝুরা করে নির্ধারিত মাত্রায়
সার মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে
দতিে হবে।
চারা রোপণ:
স্ট্রবেরির
চারা মধ্যঅক্টোবর থেকে মধ্যডিসেম্বর পর্যন-
রোপণ করা যায়।
তবে নভেম্বর মাস স্ট্রবেরি চারা
রোপণের জন্য সবচে ভাল। জমি
তৈরির পর লাইন থেকে
লাইনের দূরত্ব হবে ৫০
সেন্টিমিটার ও প্রতি সারিতে
৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে স্ট্রবেরির
চারা লাগাতে হয়।
বৃষ্টি হলে ক্ষেত থেকে
অতিরিক্ত পানি সরিয়ে দিতে
হবে না হলে গাছ
পঁচে যাবে।
সার প্রয়োগ ও সেচ:
স্ট্রবেরির
জন্য দরকার প্রচুর জৈব
সার। এজন্য
প্রতি একরে ৫০-৬০
কেজি ইউরিয়া সার, ৭০ কেজি
টিএসপি সার এবং ৮০
কেজি এমওপি সার প্রয়োগ
করতে হবে। এসব
সারকে সমান দুভাগে ভাগ
করে একভাগ দিতে হয়
ফুল আসার একমাস আগে
এবং অন্য ভাগ দিতে
হবে ফুল ফোটার সময়। ফল
ধরা শুরু হলে ২-৩ দিন পর
পরই সেচ দিতে হবে।
স্ট্রবেরির
জন্য দরকার প্রচুর জৈব
সার। এজন্য
প্রতি একরে ৫০-৬০
কেজি ইউরিয়া সার, ৭০ কেজি
টিএসপি সার এবং ৮০
কেজি এমওপি সার প্রয়োগ
করতে হবে। এসব
সারকে সমান দুভাগে ভাগ
করে একভাগ দিতে হয়
ফুল আসার একমাস আগে
এবং অন্য ভাগ দিতে
হবে ফুল ফোটার সময়। ফল
ধরা শুরু হলে ২-৩ দিন পর
পরই সেচ দিতে হবে।
অন্যান্য
যত্ন:
স্ট্রবেরি
গাছে ফুল ধরাতে চাইলে
বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গাছ
লাগানোর পর তার গোড়া
থেকে প্রচুর রানার বা
কচুর লতির মতো লতা
বের হতে থাকে।
এগুলো জমি ঢেকে ফেলে। এতে
ফলন ভাল হয় না। এসব
লতা যাতে কম বের
হয় সেজন্য গাছের গোড়ায়
খড় বা পলিথিন বিছিয়ে
দিতে হয়। পলিথিন
সিট ৩০ সেন্টিমিটার পর
গোলাকার ছিদ্র করে স্ট্রবেরি
গাছের ঝোপকে মুঠো করে
ঢুকিয়ে দিতে হয়।
বেশি ফলন ও তাড়াতাড়ি
ফল পেতে হরমোন গাছ
পাতায় সেপ্র করা যেতে
পারে।
ফল সংগ্রহ ও বিক্রি:
কাঁচা
ফল যখন হলদে বা
লালচে রঙের হতে শুরু
করে তখন বুঝা যাবে
ফল পাকা শুরু হয়েছে। ফল
পুরো পাকলে লাল হয়ে
যায়। তবে
বিক্রির জন্য ফল পুরো
লাল হওয়ার দরকার নেই। সেক্ষেত্রে
ফলগুলো শক্ত থাকা অবস্থায়
তুলতে হবে। আর
ফল তুলতে হবে বোটা
সমেত। পরে
কাগজের প্যাকেটে করে বাজারজাত করতে
হবে। ফল
তোলার পর ১০-১২
দিন পর্যন- ভালো থাকে। গড়ে
প্রতি গাছে ১৫০-২০০
গ্রাম ফল ধরে।
ফলটি এদেশে নতুন তাই
ঝুঁকিও বেশি। তবুও
মেধা ও বুদ্ধি প্রয়োগ
করে স্ট্রবেরি চাষ একদিন লাভজনক
ব্যবসায় পরিণত হবে সে
কথা বলা যায়।
তথ্য সূত্র: কৃষি মন্ত্রণালয়ের
কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে
সংগ্রহীত
0 comments:
মন্তব্য করুন