লেখক: পরিতোষ চন্দ্র রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রবীণ অধ্যাপক ড. এমএ খালেক মিয়া। খুব শিগগিরই তিনি নতুন জাতের পেঁপে কৃষকের হাতে
পৌঁছে দেবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। পেঁপের নতুন এ জাতটি নিয়ে গবেষণায় গবেষণা সহযোগী
হিসেবে ছিলেন ড. নাসরিন আকতার আইভিসহ আরো অনেকে।
পেঁপের নতুন এ জাতটি বাজারে আসার আগেই কৃষিবিজ্ঞানীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
কারণ হিসেবে জানা যায়, প্রচলিত জাতগুলোতে কয়েক রকমের গাছ থাকে। যেমন পুরুষ উদ্ভিদ, স্ত্রী
উদ্ভিদ ও উভলিঙ্গ উদ্ভিদ। পুরুষ উদ্ভিদে কোনো ফল ধরে না। আবার শুধু স্ত্রী উদ্ভিদ লাগালেও
কোনো ফল আসে না। একটি স্ত্রী উদ্ভিদে ফল আসার জন্য পাশাপাশি অবশ্যই একটি পুরুষ উদ্ভিদ
থাকতে হবে। অথবা ওই উদ্ভিদে উভলিঙ্গ ফুল থাকতে হবে। যার ফলে অনেক চারা লাগালে মাত্র
গুটিকয়েক গাছে ফল দেখা যায়। আবার কখনো কখনো দেখা যায় পুরুষ উদ্ভিদের অভাবে কোনো গাছেই
ফল ধরে না। তাই জিনতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএ খালেক মিয়া দীর্ঘদিন
ধরে গবেষণা করে আসছিলেন, কীভাবে পুরুষ উদ্ভিদ ছাড়াই পেঁপে পাওয়া সম্ভব। অনেক পরিশ্রমের
পর এ গবেষণায় তিনি সফল হয়েছেন। সমপ্রতি তাঁর গবেষণার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, তিনি এমন
একটি জাত উদ্ভাবন করেছেন যেখানে শুধু উভলিঙ্গ উদ্ভিদ এবং স্ত্রী উদ্ভিদই আছে। কোনো
পুরুষ উদ্ভিদ নেই। নতুন এই জাতে কোনো গাছ ফলহীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর এ রকম একটি
পেঁপের জাত বাংলাদেশে তিনিই প্রথম উদ্ভাবন করছেন। নতুন এ জাতটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব
আরোপ করে একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রসুল বলেন, যেহেতু
পেঁপে একই সাথে একটি ফল ও সবজি হিসেবে বহুল ব্যবহূত, তাই নতুন এ জাতটি দেশের মানুষের পুষ্টি ও খাদ্য চাহিদা
মেটানোয় যেমন অবদান রাখবে তেমনি লাভবান হবেন কৃষকরা।
0 comments:
মন্তব্য করুন