বর্ষাকালের অন্যতম জনপ্রিয় ফল পেয়ারা। আমাদের দেশে ফলটির চাহিদা অনেক। দীর্ঘ ২৭ মাস গবেষণার পর সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে তথ্য দিলেন বাউকুল উদ্ভাবক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এম.এ. রহিম।
পেয়ারা ডাল বাঁকালেই ফলন হবে দশগুণ। তাছাড়া একই প্রযুক্তিতে বছরের বার মাসই ফল ধরানো সম্ভব। ফলের মৌসুমে গাছের ফুল ছিড়ে দিয়ে এ প্রক্রিয়াকে আরো প্রভাবিত করা যায়, যার ফলে সারা বছরই ফলের মৌসুমের তুলনায় কমপক্ষে আট থেকে দশগুণ ফল ধরবে গাছে।
উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সম্পর্কে ড. রহিম জা
এছাড়াও পেয়ারার মৌসুমে গাছের ফুল ও ফল ছিড়ে দিয়ে এ প্রক্রিয়াকে আরো প্রভাবিত করা যায় বলে জানান তিনি। এ সম্পর্কে বাকৃবির জার্ম পস্নাজম সেন্টারের প্রধান গবেষণা সহযোগী কৃষিবিদ শামসুল আলম মিঠু বলেন, বছরে দু’বার অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে এবং হেমনত্মকালে শাখা-প্রশাখার নিয়ন্ত্রিত বিন্যাসের মাধ্যমে সারা বছর পেয়ারার ফুল ও ফল ধারণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। গাছের বয়স দেড় থেকে দু’বছর হলেই এই পদ্ধতি শুরম্ন করা যাবে এবং পাঁচ থেকে ছয় বছর পর্যনত্ম এই পদ্ধতিতে ফলন বাড়ানো সম্ভব।
ডাল বাঁকানোর ১০ থেকে ১৫ দিন আগে গাছের গোড়ায় সার ও পানি দেওয়া হয়। ডাল বাঁকানোর সময় প্রতিটি শাখার অগ্রভাগের প্রায় এক থেকে দেড় ফুট অঞ্চলের পাতা ও ফুল-ফল রেখে বাকি অংশ ছেটে দেওয়া হয়। এরপর ডালগুলোকে সুতা দিয়ে বেঁধে তা বাঁকিয়ে মাটির কাছাকাছি করে সাথে অথবা খুঁটির মাধ্যমে মাটিতে বেঁধে দেওয়া হয়। গ্রীষ্মকালে মাত্র দশ থেকে বার দিন পরেই নতুন ডাল গজানো শুরম্ন হয়। নতুন ডাল ১ সে.মি. লম্বা হলে বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। আর হেমনত্মকালে নতুন ডাল গজাতে বিশ থেকে পঁচিশ দিন সময় লাগে। ডাল বাঁকানোর ৪৫ থেকে ৬০ দিন পরে ফুল ধরা শুরম্ন হয়। এভাবে গজানো প্রায় প্রতি পাতার কোলেই ফুল আসে। এ পদ্ধতিতে সারা বছরই ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া ফলের মিষ্টতা বেশি এবং রঙ আকৃতি সুন্দর হওয়ায় পেয়ারার বাজার দরও বেশি পাওয়া যায়
0 comments:
মন্তব্য করুন