এলসিসি হচ্ছে লিফ কালার চার্ট বা পাতার রঙের নমুনা ছক। সার্বিক অর্থে এটিকে ইউরিয়া সার প্রয়োগের সময় ও মাত্রা পরিমাপক বলা হয়। এটি প্লাস্টিকের তৈরি। এলসিসিতে চারটি রঙের নমুনা আছে। এর স্ট্রিপগুলো ধানগাছের পাতার মতো নকল শিরাযুক্ত। ধানগাছের ইউরিয়া সারের অভাব আছে কি না তা পাতার রঙের সঙ্গে মেলালেই স্পষ্ট বোঝা যায়। এলসিসির চারটি রঙের মধ্যে হালকা সবুজ যার মান ০২, সামান্য গাঢ় সবুজ যার মান ০৩ ও মাঝারি সারের মাত্রা নির্ণয় করে ইউরিয়া সার জমিতে প্রয়োগ করে গাঢ় সবুজ রঙ যার মান ০৪ এবং সর্বশেষ রয়েছে গাঢ় সবুজ যার মান-০৫।
ধান চাষে এলসিসি ব্যবহার করে সঠিক সময় ও একদিকে রোগ ও পোকামাকড়মুক্ত বীজ উৎপাদন করা যায় এবং অপরদিকে ইউরিয়া সারের অপচয় রোধ করা সম্ভব। সাধারণত ইউরিয়া সার ধানের জমিতে ধানগাছের বাড়ন্ত পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হয়। তাই এলসিসি ব্যবহার করে সার প্রয়োগের সময় ধানের জীবনকাল জানা থাকলে সবচেয়ে ভালো হয়।
ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য ধানগাছের বাড়ন্তকালেই সবচেয়ে বেশি যত্ন নিতে হবে। কেননা পরে যত্ন নিলে কাáিক্ষত ফল পাওয়া যায় না। কোনো ধান জাতের জীবনকাল যদি ১৪০ দিনের হয় তবে ওই ধান জাতের বাড়ন্ত কাল হবে ৭৫ দিন। কেননা ধানগাছের কাইচ থোড় হওয়ার সময় থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত সময় হবে ৩৫ দিন এবং ফুল ফোটার পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ধান পেকে যাবে বা ধান বীজ হিসেবে পরিপক্ব হবে। অর্থাৎ সব জাতের ধানের ক্ষেত্রে ৩৫ দিন আর ৩০ দিন সর্বমোট=৬৫ দিন। প্রায় একই (৬৫) দিনের মধ্যে ধানের জমিতে কখনো ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে বেশিরভাগ চাষি ভুল করে এ সময় ধানক্ষেতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করেন ফলে ধানগাছ তার প্রজননকাল ছেড়ে বাড়ন্ত পর্যায়ে চলে যায়। ফলস্বরূপ ধান চিটা, রোগ ও পোকামাকড়যুক্ত বীজ বা ধান উৎপাদিত হয় এবং ধান চিটা হওয়ায় ফলন কমে যায়। তাই ইউরিয়া সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধানের জীবনকাল জানা একান্ত প্রয়োজন। ১৪০ দিন জীবনকাল ধান জাতের ক্ষেত্রে ৬৫ দিন বাদে বাকি ৭৫ দিন হলো ধানের বাড়ন্ত পর্যায়। ধানের বাড়ন্ত পর্যায়ে এলসিসি ব্যবহার করে সঠিক সময় ও সঠিক মাত্রায় ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে ভালো বীজ উৎপাদন সম্ভব।
সাধারণত বোরো ধানের জমিতে চারা রোপণের ২১ দিন পর জমির বিভিন্ন স্খানে ১০টি সুস্খ সবল গোছার সবচেয়ে বড় বা লম্বা পাতার সঙ্গে এলসিসি রঙ মিলিয়ে সঙ্কটমান নির্ণয় করতে হবে। সঙ্কটমান নির্ণয়ের সময় নির্বাচিত ধান গোছাটিকে শরীরের ছায়ায় ফেলতে হবে এবং অর্থাৎ সূর্যের আড়ালে দাঁড়িয়ে গোছাটি নির্বাচিত পাতাটির মাঝামাঝি অংশের সঙ্গে সোজা পাশে বা পাতার যেদিকে শিরা থাকে তার ওপরে রেখে এলসিসি রঙ মিলিয়ে সঙ্কটমান নির্ণয় করতে হবে।
এভাবে ১০টি পাতার রঙের গড় সঙ্কটমান যদি ৩.৫ হয় কিংবা তার কম হয় তাহলে জমিতে শতকপ্রতি ২৭১ গ্রাম বা বিঘাপ্রতি ৯ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। পাতাগুলোর গড় সঙ্কটমান যদি ৩.৫-এর ওপরে হয় তাহলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে না। ধানের জমিতে সকাল ৯টা থেকে ১১টা ও বেলা ২টা থেকে ৪টার মধ্যে এলসিসি ব্যবহার করা উত্তম।
এভাবে ধানের বাড়ন্ত পর্যায়ে প্রতি ১০ দিন অন্তর অন্তর এলসিসি ব্যবহারে সঠিক মাপের সার ব্যবহার করে ভালো উৎপাদন করা যেতে পারে।
অর্থনৈতিক বা ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে বীজ হলো ফসল উৎপাদনের একটি উপকরণ। যার মান ও গুণাগুণ বা বৈশিষ্ট্যের ওপর ফসলের উৎপাদন ও গুণাগুণ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে নির্ভরশীল।
কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের একাংশ পরবর্তী ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। এ বীজের গুণাগুণ বা মান ইত্যাদি অনিশ্চিত বা অনির্ধারিত। কিন্তু পৃথিবীর সব দেশেই চাষিরা এ ধরনের বীজ ব্যবহার করে থাকেন। তবে কৃষিক্ষেত্রে অনগ্রসর দেশগুলোতে এ বীজ ব্যবহারের মাত্রা অধিক, ক্ষেত্রবিশেষে তা ৯৫ শতাংশের অধিক হতে পারে।
বীজ নির্দিষ্টভাবে একটি পণ্য নয়। বরং তা বেশ কিছু পণ্যের সমাহার। প্রতিটি ফসলের, প্রতিটি জাতের বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ পদ্ধতি এমনকি বিপণন প্রক্রিয়াও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের দাবিদার।
তবে বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ধানের জমিতে সুষম সার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো ও সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে না পারলে ভালো বীজ উৎপাদন করা যায় না। সারের অপচয় রোধ এবং ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য এলসিসি ব্যবহারের বিকল্প নেই।
আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক অল্প শিক্ষিত বিধায় উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ও কৃষি যন্ত্রাংশ সম্পর্কে তাদের ধারণা অত্যন্ত কম। কৃষিক্ষেত্রে এলসিসি একটি নতুন ও অত্যাধুনিক কৃষি উপকরণ যা সব চাষির কাছে এখনো পৌঁছেনি। মুষ্টিমেয় কিছু চাষি ছাড়া অধিকাংশ চাষি এলসিসি ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই গ্রাম পর্যায়ে অগ্রগামী কৃষক বা কৃষক প্রমোটর, ব্লক সুপারভাইজার ও স্খানীয় সারের ডিলার কিংবা কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্খাগুলোকে গ্রাম পর্যায়ে এলসিসির ব্যবহার ও প্রচারণার দায়িত্ব নিতে হবে। যাতে করে চাষি ভাইয়েরা এলসিসির মাধ্যমে ধানের জমিতে সুষম ইউরিয়া সার ব্যবহার করে রোগবালাই ও পোকামাকড়মুক্ত ভালো বীজ উৎপাদন করতে পারেন। এতে করে বীজের ঘাটতি কিছুটা হলেও কমবে এবং অন্যদিকে ইউরিয়া সারের অপচয় হন্সাস পাবে। ফলস্বরূপ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে
ধান চাষে এলসিসি ব্যবহার করে সঠিক সময় ও একদিকে রোগ ও পোকামাকড়মুক্ত বীজ উৎপাদন করা যায় এবং অপরদিকে ইউরিয়া সারের অপচয় রোধ করা সম্ভব। সাধারণত ইউরিয়া সার ধানের জমিতে ধানগাছের বাড়ন্ত পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হয়। তাই এলসিসি ব্যবহার করে সার প্রয়োগের সময় ধানের জীবনকাল জানা থাকলে সবচেয়ে ভালো হয়।
ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য ধানগাছের বাড়ন্তকালেই সবচেয়ে বেশি যত্ন নিতে হবে। কেননা পরে যত্ন নিলে কাáিক্ষত ফল পাওয়া যায় না। কোনো ধান জাতের জীবনকাল যদি ১৪০ দিনের হয় তবে ওই ধান জাতের বাড়ন্ত কাল হবে ৭৫ দিন। কেননা ধানগাছের কাইচ থোড় হওয়ার সময় থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত সময় হবে ৩৫ দিন এবং ফুল ফোটার পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ধান পেকে যাবে বা ধান বীজ হিসেবে পরিপক্ব হবে। অর্থাৎ সব জাতের ধানের ক্ষেত্রে ৩৫ দিন আর ৩০ দিন সর্বমোট=৬৫ দিন। প্রায় একই (৬৫) দিনের মধ্যে ধানের জমিতে কখনো ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে বেশিরভাগ চাষি ভুল করে এ সময় ধানক্ষেতে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করেন ফলে ধানগাছ তার প্রজননকাল ছেড়ে বাড়ন্ত পর্যায়ে চলে যায়। ফলস্বরূপ ধান চিটা, রোগ ও পোকামাকড়যুক্ত বীজ বা ধান উৎপাদিত হয় এবং ধান চিটা হওয়ায় ফলন কমে যায়। তাই ইউরিয়া সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে ধানের জীবনকাল জানা একান্ত প্রয়োজন। ১৪০ দিন জীবনকাল ধান জাতের ক্ষেত্রে ৬৫ দিন বাদে বাকি ৭৫ দিন হলো ধানের বাড়ন্ত পর্যায়। ধানের বাড়ন্ত পর্যায়ে এলসিসি ব্যবহার করে সঠিক সময় ও সঠিক মাত্রায় ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে ভালো বীজ উৎপাদন সম্ভব।
সাধারণত বোরো ধানের জমিতে চারা রোপণের ২১ দিন পর জমির বিভিন্ন স্খানে ১০টি সুস্খ সবল গোছার সবচেয়ে বড় বা লম্বা পাতার সঙ্গে এলসিসি রঙ মিলিয়ে সঙ্কটমান নির্ণয় করতে হবে। সঙ্কটমান নির্ণয়ের সময় নির্বাচিত ধান গোছাটিকে শরীরের ছায়ায় ফেলতে হবে এবং অর্থাৎ সূর্যের আড়ালে দাঁড়িয়ে গোছাটি নির্বাচিত পাতাটির মাঝামাঝি অংশের সঙ্গে সোজা পাশে বা পাতার যেদিকে শিরা থাকে তার ওপরে রেখে এলসিসি রঙ মিলিয়ে সঙ্কটমান নির্ণয় করতে হবে।
এভাবে ১০টি পাতার রঙের গড় সঙ্কটমান যদি ৩.৫ হয় কিংবা তার কম হয় তাহলে জমিতে শতকপ্রতি ২৭১ গ্রাম বা বিঘাপ্রতি ৯ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। পাতাগুলোর গড় সঙ্কটমান যদি ৩.৫-এর ওপরে হয় তাহলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে না। ধানের জমিতে সকাল ৯টা থেকে ১১টা ও বেলা ২টা থেকে ৪টার মধ্যে এলসিসি ব্যবহার করা উত্তম।
এভাবে ধানের বাড়ন্ত পর্যায়ে প্রতি ১০ দিন অন্তর অন্তর এলসিসি ব্যবহারে সঠিক মাপের সার ব্যবহার করে ভালো উৎপাদন করা যেতে পারে।
অর্থনৈতিক বা ব্যবসায়িক দৃষ্টিতে বীজ হলো ফসল উৎপাদনের একটি উপকরণ। যার মান ও গুণাগুণ বা বৈশিষ্ট্যের ওপর ফসলের উৎপাদন ও গুণাগুণ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে নির্ভরশীল।
কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের একাংশ পরবর্তী ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। এ বীজের গুণাগুণ বা মান ইত্যাদি অনিশ্চিত বা অনির্ধারিত। কিন্তু পৃথিবীর সব দেশেই চাষিরা এ ধরনের বীজ ব্যবহার করে থাকেন। তবে কৃষিক্ষেত্রে অনগ্রসর দেশগুলোতে এ বীজ ব্যবহারের মাত্রা অধিক, ক্ষেত্রবিশেষে তা ৯৫ শতাংশের অধিক হতে পারে।
বীজ নির্দিষ্টভাবে একটি পণ্য নয়। বরং তা বেশ কিছু পণ্যের সমাহার। প্রতিটি ফসলের, প্রতিটি জাতের বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ পদ্ধতি এমনকি বিপণন প্রক্রিয়াও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের দাবিদার।
তবে বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ধানের জমিতে সুষম সার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো ও সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে না পারলে ভালো বীজ উৎপাদন করা যায় না। সারের অপচয় রোধ এবং ভালো বীজ উৎপাদনের জন্য এলসিসি ব্যবহারের বিকল্প নেই।
আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক অল্প শিক্ষিত বিধায় উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ও কৃষি যন্ত্রাংশ সম্পর্কে তাদের ধারণা অত্যন্ত কম। কৃষিক্ষেত্রে এলসিসি একটি নতুন ও অত্যাধুনিক কৃষি উপকরণ যা সব চাষির কাছে এখনো পৌঁছেনি। মুষ্টিমেয় কিছু চাষি ছাড়া অধিকাংশ চাষি এলসিসি ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই গ্রাম পর্যায়ে অগ্রগামী কৃষক বা কৃষক প্রমোটর, ব্লক সুপারভাইজার ও স্খানীয় সারের ডিলার কিংবা কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্খাগুলোকে গ্রাম পর্যায়ে এলসিসির ব্যবহার ও প্রচারণার দায়িত্ব নিতে হবে। যাতে করে চাষি ভাইয়েরা এলসিসির মাধ্যমে ধানের জমিতে সুষম ইউরিয়া সার ব্যবহার করে রোগবালাই ও পোকামাকড়মুক্ত ভালো বীজ উৎপাদন করতে পারেন। এতে করে বীজের ঘাটতি কিছুটা হলেও কমবে এবং অন্যদিকে ইউরিয়া সারের অপচয় হন্সাস পাবে। ফলস্বরূপ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে
0 comments:
মন্তব্য করুন