বিদ্যুত্ছাড়াই জ্বলবে বাতি


বিদ্যুত্ সংকট ও বিভ্রাটের মাঝে আশার আলো দেখিয়েছে কাপ্তাই সেনা জোন-৭ ইঞ্জিনিয়ার্স ব্যাটেলিয়ন। প্রায় বিনা খরচে বিদ্যুত্ ছাড়াই বাতি জ্বালানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে তারা। মাত্র ৩০ টাকা খরচ করে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ এক ধরনের সোলার বোতল বাল্ব তৈরি করা হয়েছে, যা ৫৫ ওয়াট বাল্বের সমপরিমাণ আলো দেয়।

বোতলে বিশুদ্ধ পানি ও ৩ চামচ (১০ মিলিলিটার) ব্লিচ কিংবা তরল ক্লোরিন দ্রবণ মিশ্রিত করে বোতলের মুখ ভালোভাবে গালা দিয়ে বন্ধ করা হয়। এরপর ১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১ ফুট প্রস্থ আয়তনবিশিষ্ট একটি টিন মাঝখানে ছিদ্র করে বোতলের গায়ে লাগাতে হবে। বাড়ি বা বাসার ছাদের টিনটি বোতলের পরিমাপে ছিদ্র করে ওই স্থানে বোতল স্থাপন করতে হবে। এটি স্থাপনের সময় বোতলের ১ তৃতীয়াংশ টিনের উপরিভাগে এবং ২ তৃতীয়াংশ ঘরের ভিতর রেখে বোতলটি বসাতে হবে। বৃষ্টির পানি ঘরে প্রবেশ না করার জন্য বোতলের চতুর্দিকে গালা দিয়ে শক্ত করে আটকে দিতে হবে।

দিনের বেলায় সূর্যের আলো বোতলের উপরের অংশে পড়লে সে আলো প্রতিফলিত হয়ে বোতলের পানির সাহায্যে ঘরের ভিতর সমানভাবে আলো ছড়িয়ে পড়বে, যা ৫৫ ওয়াটের একটি এনার্জি বাল্বের আলোর সমতুল্য। রাতের বেলায় বোতলের মধ্যে রাস্তার কোন বাতির আলো পড়লে তাও প্রতিফলিত হয়ে ঘর আলোকিত করবে। বোতলে ক্লোরিন অথবা ব্লিচ মিশ্রিত পানি পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত বদলাতে হবে না। তিনি বলেন, একটি বোতল বাল্ব তৈরি করে বাড়িতে স্থাপন করলে সূর্যের আলো থেকে এই বাল্বটি কোন খরচ ছাড়াই টানা ৫ বছর পর্যন্ত নিয়মিত আলো দিয়ে যাবে।

কাপ্তাই সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর শাখাওয়াত হোসেন উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশে এই সোলার বাল্ব প্রযুক্তি প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই বাল্ব তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা খরচ হতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করলে ২০ টাকায় করা সম্ভব। তিনি বলেন, এই বাল্ব ব্যবহারে কোন বিদ্যুত্ খরচ নেই। সূর্যের আলোই এই বাল্বের মূল বিদ্যুত্ শক্তি। এ প্রযুক্তি প্রস্তুতকরণে প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলো সহজলভ্য। এটি পরিবেশবান্ধব ও কোন প্রকার দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই।