সস্তা গয়নার দোকান।

তামা, পিতল, কাঁসা দিয়েও গয়না তৈরি হয়। স্বর্ণের আকাশছোঁয়া দামের কারণে এসব গয়নাই এখন বেশি চলছে। সিটি গোল্ড বা এন্টিক নামে এগুলোর পরিচয়। ঢাকার সাভারেই আছে এ গয়না তৈরির কারখানা। নিজে দোকান দিয়ে এর ব্যবসা করতে পারেন, অন্য দোকানেও সরবরাহ করতে পারেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সিদ্ধার্থ সাই

এখন অনেকেই সকাল-বিকাল কাপড় পাল্টান। মানানসই গয়নারও খোঁজ পড়ে সেই সঙ্গে। স্বর্ণ ও রৌপ্যের উচ্চমূল্যের এই বাজারে তামা, দস্তা, পিতলই ভরসা। মার্কেটগুলোতে আজকাল সিটি গোল্ড নামে এসব গয়না বিক্রি হয়।

কোথায় পাবেন
সাভারের হেমায়েতপুর বাজার থেকে বটতলা যেতে হবে। বটতলা থেকে ১০ মিনিটের পথ বাকুর্তা বাজার। বাকুর্তা গ্রামে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের বসবাস। এদের কেউ গয়নার কাঁচামাল জোগান দেন, কেউবা ডাইস বানানোর কাজ করেন। অনেকে আবার গয়নাগুলো জিংকে ধুয়ে রং বের করেন। বাকুর্তা বাজারের গয়নার কারিগর নিখিল চন্দ্র রাজবংশী জানান, 'একসময় আমরা রুপার গয়না করতাম। দাম বাড়ায় এর বিক্রি কমে যাচ্ছে। তাই এখন তামা আর পিতল। বলতে গেলে সবাই এ কাজ করে।'
ঢাকা চাঁদনীচক, নিউমার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেটসহ প্রায় সব বড় শপিং মলের গয়না আসে বাকুর্তা থেকে।

কী কী পাবেন
বাকুর্তার কারখানাগুলোতে হাজারো নকশার গয়না পাওয়া যায়। চাইলে নিজের পছন্দমতো ডিজাইন দিয়েও তৈরি করানো যায়। যেসব গয়না বেশি বিক্রি হয় তার মধ্যে নেকলেস, সিতাহার, গলার চেইন, কানের দুল, ঝুমকা, হাতের বালা, চুলের ব্যান্ড, ক্লিপ, আংটি অন্যতম।

লাভ কেমন
সাধারণ একটি অপরিশোধিত তামার গয়নার দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, যা জিংকে ধুয়ে পরিশোধিত হয়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। ডিজাইন অনুযায়ী দামও কম-বেশি হয়। কারখানা থেকে একটি ভালো ডিজাইনের গয়না কিনতে খরচ হয় সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা, যা শপিং মলে বিক্রি হয় ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকায়। কারখানা থেকে এক জোড়া কানের দুল কেনা যায় ২০ থেকে ৩০ টাকায়, যা বিক্রি করা যায় ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। সিতাহার কেনা যায় ৮০০ টাকায়, বিক্রি করা যায় ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকায়। হাতের বালা এক জোড়া কিনতে খরচ পড়বে ৮০ টাকা, আর বিক্রি করা যায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। প্রায় প্রতিটি গয়না বিক্রিতে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ লাভ থাকে।