তিন তরুণের আবিষ্কার জৈব ডিটারজেন্ট


ডিটারজেন্ট এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, এর উপকারের পাশাপাশি ক্ষতির দিকটাও অনেক। সে কথায় মাথায় রেখে ওঁরা তিনজন ধারণা দিলেন নতুন এক ধরনের ডিটারজেন্টযার নাম দিলেন জৈব ডিটারজেন্ট 


তাঁদের মতে, প্রচলিত ডিটারজেন্ট থেকে নির্গত বর্জ্য পানির মাধ্যমে মাটিতে মিশে পরিবেশদূষণ ঘটায়। মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট করে এবং এটি মানুষের ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। কিন্তু এই জৈব ডিটারজেন্ট হবে সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। এটি জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হবে। এতে থাকবে প্রাকৃতিক সৌরভ, যা অনেক দিন ধরে বজায় থাকবে। পরিবেশবান্ধব এ ডিটারজেন্ট তৈরি এবং এর ব্যবসায়িক সম্ভাবনা তুলে ধরে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী। অয়ন সাহা, হামিদ হোসাইন ও কুতুব উদ্দিন মো. আশরাফ। তিনজনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। অয়ন ও কুতুব উদ্দিন চতুর্থ বর্ষ, হামিদ দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন।


বাংলাদেশের তরুণ জৈব প্রযুক্তিবিদ ও শাবিপ্রবি জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সর্বশেষ জৈব প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিযোগিতায় তাঁদের প্রকল্পটি শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়। দলগতভাবে তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হন। তাঁদের প্রকল্পের নাম ছিল ডার্ট কিট
প্রকল্প প্রসঙ্গে অয়ন জানান, ‘আমরা জৈব ডিটারজেন্ট তৈরির জন্য প্রথমে ব্যাকটেরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করব। পণ্য তৈরির পর অনলাইনে এর খবর ছড়িয়ে দেব। আর বাজার সম্প্রসারণের জন্য আমরা প্রথমে বাস, চায়ের দোকানে প্রভৃতি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা নেব।


কুতুব উদ্দিন ও হামিদের মতে, ‘আমাদের বিশ্বাস, জৈব ডিটারজেন্ট ভালো সাড়া ফেলতে সক্ষম হবে। এ ডিটারজেন্ট পরিমাণে কম লাগবে বলে সাশ্রয়ী হবে।