অল্প পুঁজিতেই যাঁদের
কিছু করার ইচ্ছা, তাঁরা শুরু করতে পারেন নারকেলি তৈরির ব্যবসা।
রাস্তায়
অনেক রকম খাবার মেলে। পথ চলতি অনেকেরই কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হয়। কিন্তু ধুলাবালুর ভয়ে
মুখ ফিরিয়ে রাখেন। তবে আজকাল রাস্তার অনেক খাবারই প্লাস্টিকের প্যাকেটে থাকে। যেমন
নারকেলি। তাই বাজারে নারকেলির চাহিদাও খুব। ঘরে বসেই করতে পারেন নারকেলি বানানোর ব্যবসা।
কাঁচামাল কোথায় পাবেন
নারকেলি তৈরির মূল উপাদান
নারিকেল কিনতে যেতে পারেন কারওয়ান বাজারে। সেখান থেকে পাইকারি দামে নারিকেল কিনতে পারবেন।
এ ছাড়াও যেতে পারেন মিরপুরের দিয়াবাড়ি বাজার,
যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার কিংবা সদরঘাটের শ্যামবাজারে।
সকালের পাইকারি বাজারে একটি নারিকেল ১০-১৫ টাকায় কেনা যায়।
চাইলে বরিশাল অথবা নোয়াখালী
থেকেও নারিকেল কিনে আনতে পারেন। যাতায়াত খরচ দিয়েও পুষিয়ে যাবে। হাতে নারিকেল কাটতে
একটা ছুরি হলেই চলবে। কাটার মেশিন কিনতে চাইলে সালাদ কাটার কিনে নিতে পারেন। সাধারণ
একটি কাটারের দাম ১০-১৫ টাকা। আর বিশেষ ধরনের কাটার ৪০০-৫০০ টাকা। পাওয়া যাবে যেকোনো
সুপার শপে। প্যাকেটের মুখ মোমের আগুনে সহজেই জোড়া লাগানো যায়। কাজটি মেশিনে করতে চাইলে
খরচ পড়বে ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় প্যাকেট করার মেশিন কিনতে পাওয়া
যায়, এর
মধ্যে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় আছে গোল্ডেন মেশিনারিজ।
তৈরির প্রক্রিয়া
বাজার থেকে নারিকেল
কিনে এনে, সালাদ কাটার কিংবা ছুরি দিয়ে পাতলা করে নারিকেলগুলো কেটে নিতে
হবে। সেগুলো রোদে শুকিয়ে নিয়ে, হাতে মুচড়ে ভেঙে নিতে হবে। ছোট ছোট নারিকেলের
টুকরোগুলো আগুনে হালকা আঁচে ভেজে নিলেই হয়ে গেল নারকেলি। ছোট ছোট প্লাস্টিকের প্যাকেটে
ভরে মোমের আগুনে মুখ বন্ধ করে দিলেই নারকেলি বানানোর কাজ শেষ হয়ে গেল। প্রয়োজনে প্যাকেটজাত
করার জন্য মেশিন ব্যবহার করতে পারেন।
সারা দিনে একজন প্রায়
এক হাজার প্যাকেট নারকেলি প্যাকেট করতে পারে। এক হাজার প্যাকেট পাইকারি বিক্রির দাম
এক হাজার টাকা। এক হাজার প্যাকেট নারকেলি বানাতে নারিকেল লাগে ২০টি। সব মিলিয়ে লাভ
ভালোই থাকে। খরচ বাদ দিয়েও ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
বাজারজাতকরণ
সাধারণত পরিচিত হলে
বাসা থেকেই নারকেলি নিয়ে যাবে। এ ছাড়া দোকানে দোকানেও সরবরাহ করতে পারেন।
0 comments:
মন্তব্য করুন