রিপন গোয়ালা, ময়মনসিংহ :: বিদেশী আবহাওয়া উপযোগী ব্রয়লার জাত বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে মাংসের যোগান দিলেও সাম্প্রতিক নতুন নতুন রোগ বালাইয়ের প্রেক্ষিতে পোল্ট্রি শিল্পে মারাত্মক ধ্বংস দেখা দিয়েছে। এর শিকারে শত শত পোল্ট্রি খামারীও হয়েছেন নিঃস্ব। যার প্রেক্ষিতে গত এক বছরে ব্রয়লার মুরগির মাংস ও ডিমের দামও প্রায় শত ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পোল্ট্রি শিল্পের এ মুমূর্ষূ অবস্থায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের (বাকৃবি) বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষনায় নতুন আলোর সন্ধান দিয়েছেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের বিজ্ঞানীরা দেশে এই প্রথম দেশী আবহাওয়া উপযোগী দেশীয় জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লার মুরগির উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। নতুন এ জাতটি অতিসত্বর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে এতে প্রতি বছর বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে আশা করছেন, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফ আলী। তিনি আরো বলেন, বিদেশী আবহাওয়া উপযোগী ব্রয়লার এদেশে এনে বাজারজাত করায় সাম্প্রতিক সময়ে নতুন নতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পোল্ট্রি খাত। তার গবেষণার ফলাফল পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহারের মাধ্যমে এ সমস্যার উত্তরণ সম্ভব। অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফ আলী বলেন, বর্তমানে তাঁর গবেষণায় প্রাপ্ত ব্রয়লার মুরগীর বাচ্চা ৬ সপ্তাহে ওজন হচ্ছে ১১০০ গ্রাম। বাচ্চার ওজন আরো ২০০ গ্রাম বৃদ্ধি করা গেলেই নতুন জাতটি বাজারজাতের জন্য প্রেরণ করা হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদে ‘দেশীয় জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লার মুরগির উন্নত জাত উদ্ভাবন’ শীর্ষক সেমিনারে ওইসব কথা বলেন পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞরা। দেশীয় জাতের ব্রয়লার উদ্ভাবনে এটিই প্রথম গবেষণা বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অর্থায়নে পরিচালিত দেশে প্রথমবারের মত দেশীয় জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লারের উন্নত জাত উদ্ভাবন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফ আলীর নেতৃত্বে একটি গবেষণা টীম কাজ করছেন। এ টীমে আরো গবেষণা করছেন প্রকল্পের সহযোগী গবেষক ও সহযোগী অধ্যাপক ড.বজলুর রহমান মোল্যা ও পিএইচডি ফেলো গোলাম আজম। বর্তমান সময়ে মানুষের আমিষের চাহিদার বিশাল অংশ পূরণ করে আসছে ব্রয়লারের মাংস। সহজলভ্য ও অন্য প্রাণীজ মাংসের তুলনায় দামে সস্তা হওয়ায় সকল পেশার মানুষ ব্রয়লারের মাংস খেতে পাচ্ছেন। কিন্তু ব্রয়লার শিল্পে বাচ্চা থেকে শুরু করে খাবার পর্যন্ত, সবই আমদানি নির্ভর হওয়ায় দিন দিন এর উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে ওই সকল আমদানি করা ব্রয়লারের বাচ্চা দেশের আবহাওয়ার উপযোগী না হওয়ায়, মৃত্যুহারও বেশি। এসব দিক বিবেচনা করে আমাদের দেশীয় মাংস উৎপাদনকারী জাতগুলোকে ব্যবহার করে আমাদের আবহাওয়া উপযোগী মাংস উৎপাদনকারী ব্রয়লারের জাত উদ্ভাবন করতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে আমদানিতে ব্যয়কৃত বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব। সেই সাথে ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ কমিয়ে স্বল্প মূল্যে বাজারজাতের মাধ্যমে সকল শ্রেণীর মানুষর সাধ্যের মধ্যে রেখে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। জানা যায়, নতুন গবেষনার আলোকে ২৭ জুন সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সভাকক্ষে ‘দেশীয় জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লার মুরগির উন্নত জাত উদ্ভাবন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল হক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইউজিসি অধ্যাপক ড. এস.এম বুলবুল, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহসীন আলী।অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.সামাদ খান
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ের বিজ্ঞানীরা দেশে এই প্রথম দেশী আবহাওয়া উপযোগী দেশীয় জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লার মুরগির উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছেন। নতুন এ জাতটি অতিসত্বর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে এতে প্রতি বছর বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে আশা করছেন, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফ আলী। তিনি আরো বলেন, বিদেশী আবহাওয়া উপযোগী ব্রয়লার এদেশে এনে বাজারজাত করায় সাম্প্রতিক সময়ে নতুন নতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পোল্ট্রি খাত। তার গবেষণার ফলাফল পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহারের মাধ্যমে এ সমস্যার উত্তরণ সম্ভব। অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফ আলী বলেন, বর্তমানে তাঁর গবেষণায় প্রাপ্ত ব্রয়লার মুরগীর বাচ্চা ৬ সপ্তাহে ওজন হচ্ছে ১১০০ গ্রাম। বাচ্চার ওজন আরো ২০০ গ্রাম বৃদ্ধি করা গেলেই নতুন জাতটি বাজারজাতের জন্য প্রেরণ করা হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদে ‘দেশীয় জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লার মুরগির উন্নত জাত উদ্ভাবন’ শীর্ষক সেমিনারে ওইসব কথা বলেন পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞরা। দেশীয় জাতের ব্রয়লার উদ্ভাবনে এটিই প্রথম গবেষণা বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অর্থায়নে পরিচালিত দেশে প্রথমবারের মত দেশীয় জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লারের উন্নত জাত উদ্ভাবন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফ আলীর নেতৃত্বে একটি গবেষণা টীম কাজ করছেন। এ টীমে আরো গবেষণা করছেন প্রকল্পের সহযোগী গবেষক ও সহযোগী অধ্যাপক ড.বজলুর রহমান মোল্যা ও পিএইচডি ফেলো গোলাম আজম। বর্তমান সময়ে মানুষের আমিষের চাহিদার বিশাল অংশ পূরণ করে আসছে ব্রয়লারের মাংস। সহজলভ্য ও অন্য প্রাণীজ মাংসের তুলনায় দামে সস্তা হওয়ায় সকল পেশার মানুষ ব্রয়লারের মাংস খেতে পাচ্ছেন। কিন্তু ব্রয়লার শিল্পে বাচ্চা থেকে শুরু করে খাবার পর্যন্ত, সবই আমদানি নির্ভর হওয়ায় দিন দিন এর উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে ওই সকল আমদানি করা ব্রয়লারের বাচ্চা দেশের আবহাওয়ার উপযোগী না হওয়ায়, মৃত্যুহারও বেশি। এসব দিক বিবেচনা করে আমাদের দেশীয় মাংস উৎপাদনকারী জাতগুলোকে ব্যবহার করে আমাদের আবহাওয়া উপযোগী মাংস উৎপাদনকারী ব্রয়লারের জাত উদ্ভাবন করতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে আমদানিতে ব্যয়কৃত বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব। সেই সাথে ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ কমিয়ে স্বল্প মূল্যে বাজারজাতের মাধ্যমে সকল শ্রেণীর মানুষর সাধ্যের মধ্যে রেখে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। জানা যায়, নতুন গবেষনার আলোকে ২৭ জুন সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সভাকক্ষে ‘দেশীয় জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লার মুরগির উন্নত জাত উদ্ভাবন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল হক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইউজিসি অধ্যাপক ড. এস.এম বুলবুল, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহসীন আলী।অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.সামাদ খান
0 comments:
মন্তব্য করুন